কোটা সংস্কারের ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ
খুশি কবির
আমি বলবো, এটি কোটা সংস্কারের আন্দোলন ছিল, বাতিলের আন্দোলন নয়। যাতে মেধাবিদের সুযোগ থাকে এ আন্দোলনের মূল বিষয় শুধুমাত্র কোটা নয়, এখানে কোটাও থাকবে এবং মেধাও থাকবে। আন্দোলন অনেক বড় হয়েছিল এই বিষয়টি আমার কাছে মনে হলো। যখন আন্দোলন এত বড় আকারে হয়েছিল, তখন সরকার পরিপক্কতার সাথে তা দেখার দায়িত্ব ছিল। আন্দোলনে কাউকে জোর পূর্বক নামানো হয় নাই। সরকারের দেখা উচিৎ ছিল, কি কারণে এতো স্বতঃস্ফুর্তভাবে মানুষ আন্দোলনে যোগ দান করলো? কারণ কি? সরকারের প্রশাসন, না সরকারের নিজের উপর অসন্তুষ্ট মানুষ! না তারা বক্তব্য দেওয়ার জায়গা পাচ্ছে না? যারা কোটা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে, তারা সত্যিকারের কোটা সংস্কারের আন্দোলন করছে, না তারা বুঝিয়েছে যে তারা সরকারের বিরুদ্ধে নামার একটা সুযোগ খুজছে! এ সকল কারণ না দেখে, না বিশ্লেষণ করে শুধুমাত্র যারা আন্দোলন ডেকেছে তাদেরকে হুমকির সম্মুখিন করলে বিষয়টা উল্টা রূপ ধারণ করবে। যেহেতু মানুষ আন্দোলনে নেমেছিল এবং তা বিশাল আকার ধারণ করেছিল, তার মানে মানুষের মধ্যে একটা ইচ্ছা / আকাংখার বিষয় ছিল। যে কয়েকজন ব্যক্তি বা নেতা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে, তারা এমন কোন নেতা না যে, তাদের এক কথায় সকল লোক নেমে আসবে এবং এরা সবাই সাধারণ ছাত্র ছিল এবং তারা এক কথায় একটা জাতির এতগুলো মানুষকে নামাতে পারে না। আন্দোলনে এতো মানুষ নেমেছে কেন, সরকারের তা বুঝা উচিৎ এবং আন্দোলনের বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ ছিল।
পরিচিতি : মানবাধিকার কর্মী/মতামত গ্রহণ : তাওসিফ মাইমুন/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ