হায়দরাবাদের মক্কা মসজিদে হামলা সাক্ষীর অভাবে অভিযুক্তরা খালাস, বিচারকের পদত্যাগ
ইমরুল শাহেদ: ভারতের হায়দরাবাদের মক্কা মসজিদে হামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকেই গতকাল সোমবার বেকসুর খালাস দিয়েছে এনআইএ আদালত। সাক্ষীর অভাবের কথা উল্লেখ করে আদালত বলেছে, তদন্তকারী সংস্থাটি কাউকে অপরাধী বিবেচনা করার মতো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি। অভিযুক্তরা সকলেই অভিনব ভারত নামে কট্টরপন্থী হিন্দু সংগঠনের সদস্য। তাদের মধ্যে রয়েছেন নবকুমার শিরকার ওরফে স্বামী অসীমানন্দ, দেবেন্দর গুপ্ত, লকেশ শর্মা ওরফে অজয় তিওয়ারি, লক্ষ্মণ দাস মহারাজ, মোহনলাল রাতেশ্বর এবং রাজেন্দার চৌধুরী। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, পার্সটুডে।
২০০৭ সালের ১৮ মে ঐতিহাসিক মক্কা মসজিদে পাইপ বোমা বিস্ফোরণে নয় জন নিহত এবং ৫৮ জন আহত হয়।
স্থানীয় পুলিশ এই মামলাটির প্রাথমিক তদন্তের পর সিবিআইকে হস্তান্তর করে। তারাই মামলার চার্জশিট দাখিল করেছে।
অভিযুক্তদের কৌঁসুলি জানান, অসীমানন্দসহ মোট পাঁচজনই এদিন আদালতে হাজির ছিলেন। কিন্তু বিচারকরা সব সাক্ষ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে ঘোষণা করেছেন তাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও প্রমাণ করা যায়নি। ফলে আদালত তাদের নির্দোষ ঘোষণা করেছে।”
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ করেন হায়দরাবাদ আদালতের বিচারক রবীন্দ্র রেড্ডি
ভারতের যে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি গত সাত বছর ধরে এই মামলার তদন্ত করেছে- তারা যে প্রতিটি অভিযোগ দাঁড় করাতেই ব্যর্থ হয়েছে, আদালত সে কথাও স্পষ্ট বলেছে।
মামলাটি প্রথমে নথিভুক্ত হয় হোসাইনি আলম পুলিশ স্টেশনে। পরে সিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়। সম্পাদনা: আনিস রহমান
এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিন প্রধান ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিন ওয়াইসি এমপি বলেন, ন্যায়বিচার হলো না। এনআইএ এবং মোদি সরকার অভিযুক্তদের জামিনের রায়ের বিরুদ্ধে ৯০ দিনের মধ্যে আবেদনই করেনি। একেবারেই পক্ষপাতদুষ্ট তদন্ত হয়েছে। এতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ের শপথ দুর্বল হবে।’
অন্যদিকে, কংগ্রেসের সিনিয়র নেতা গুলাম নবী আজাদ বলেছেন, তদন্ত এজেন্সি সরকারের কাঠপুতুলে পরিণত হয়েছে। আদালতের তত্ত্বাবধানে ওই মামলার তদন্ত হোক।