রাজীব হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই
কেফায়েত শাকিল
রাজধানীর গণপরিবহনগুলোর চালকরা এতোটাই বেপরোয়া হয়েছে যে, মানুষের প্রাণ এখন তাদের কাছে কিছুই না। তারা রাস্তায় মানুষের জীবন নিয়ে প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠে। যার জ্বলন্ত প্রমাণ কলেজছাত্র রাজীব হোসাইনের মৃত্যু, গৃহবধূ আয়েশা খাতুনের মেরুদন্ড ভাঙা ও বেসরকারি চাকরিজীবী রুনা আক্তারের পা থেঁতলে যাওয়া। আমরা বহুদিন ধরে দাবি তুলে আসছি রাজধানীর পরিবহনে নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তখন ব্যবস্থা নিলে আজ রাজীবকে বলি হতে হতো না। রাজধানীতে সিটিং সার্ভিসের নামে চালু হওয়া চিটিং সার্ভিস যেভাবে মানুষের পকেট কাটছে সেভাবে কাটছে গলাও। পরিবহনগুলো সন্ত্রাসের চেয়েও বড় সন্ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদের আজই না রুখা হলে পরিবহন খাতে যে কঠিন অবস্থার সৃষ্টি হবে এর দায় কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে। সিটিং সার্ভিসের নামে চিটিংবাজী বন্ধ না হলে কঠোর আন্দোলন করবো। যাত্রী অধিকার আন্দোলনের পক্ষের ৮ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:- (এক). রাজীব হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড দিতে হবে। সব সড়কে দুর্ঘটনায় মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে আইন করতে হবে। (দুই). যানজট নিয়ন্ত্রণ, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও যাত্রীদের যথাযথ সেবা নিশ্চিতে যত্রতত্র যাত্রী ওঠা-নামা বন্ধ করতে হবে। (তিন). সারাদেশে গণপরিবহনে সরকার নির্ধারিত ভাড়া কার্যকর করতে হবে। রাজধানীসহ দেশের নগর-মহানগর ও আন্ত:জেলার গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কার্যকর করতে হবে এবং দূর পাল্লা পরিবহনে শিক্ষার্থীদের ২৫ শতাংশ ভাড়া ছাড় দিতে হবে। (চার). নামে-বেনামে চালু হওয়া সিটিং সার্ভিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) অনুমতিক্রমে কিছু স্পেশাল পরিবহন চলাচল করতে পারে, তবে অবশ্যই যথাযথ মানের হতে হবে। (পাঁচ). গণপরিবহনের ভাড়া সমতা আনতে হবে। প্রতিটি গাড়িতে ভাড়ার চার্ট রাখতে হবে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করলে শাস্তির ব্যবস্থা রাখতে হবে। (ছয়). পরিবহন নৈরাজ্য বন্ধে বিআরটিএকে নিয়মত কার্যকর অভিযান পরিচালনা করতে হবে এবং গণপরিবহনে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যবস্থা করতে হবে। নারী হয়রানি শিকার হলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
পরিচিতি : আহ্বায়ক, যাত্রী অধিকার আন্দোলন/মতামত গ্রহণ : মো.এনামুল হক এনা/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ