পুলিশকে ইন্টারনেটের গুজব সম্পর্কে সতর্ক হতে হবে
নূর খান লিটন
ইন্টারনেটে গুজব ছড়ানো নিয়ে আমি কোন মন্তব্য করবো না। তবে মানবাধিকার কর্মী হিসেবে বলবো, সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য যদি কেউ নিছক গুজব ছড়ায়, তাহলে তা অবশ্যই অপরাধ এবং সেই অপরাধকে বিবেচনায় আনতে হবে পরিস্থিতির প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে। উদাহরণে বলব, একজন সাধারণ মানুষ একটি ঘটনা শুনে সে ফেসবুকে লাইক দিলো, এটি এক রকম কিন্তু এটি অপরাধ নয়। অন্যভাবে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে কেউ অবস্থা তৈরি করার জন্য গুজব ছড়ালে সেটি অপরাধ হবে। সুতরাং এখানে পুলিশ খুব সতর্কতার সাথে এগুতে হবে, তা না হলে দেখা যাবে সাধারণ মানুষ বিপদে পড়ে যাবে। যেমন একটি শিশু যদি না জেনে খাবারের মধ্যে বিষ ঢেলে দেয়, সেটি অপরাধ নয়। কিন্তু একজন জেনে শুনে বিষ দেওয়া হচ্ছে অপরাধ। আমি জানলাম একজন মারা গেলো, তখন এটি ব্যাপার। আমি নিশ্চিত কেউ মারা যায়নি, গুজব ছড়ানোর জন্য মারা গেলো বলে ছড়িয়ে দিলাম, এটি এক ধরনের অপরাধ। দেশের বর্তমান অবস্থায় গুজবে কান দেওয়া ঠিক নয় এবং গুজব রটানো ঠিক নয়। অÑনৈতিক কর্মকান্ড থেকে সব মহলের বিরত থাকা উচিৎ এবং পাশা পাশি সতর্ককতার সাথে হার্ড লাইনে মুখ ঘুরাতে হবে। বিভিন্ন হলের সাধারণ ছাত্র যারা এ আন্দোলনে যোগ দিয়েছে, তাদের উপর যে নির্যাতনের কথা শোনা যাচ্ছে, তা সম্পূর্ণ অÑনৈতিক ধরনের চিন্তা। যারা করে তারা দেশটাকে ক্ষতি সাধন করার জন্য বসে আছে। আমরা ইতিপূর্বে আইউব খানের আমলে এমন অমানবিক আচরণ দেখে আসছি, এটির পরিণতি কখনো শুভ হয় না।
পরিচিতি : মানবাধিকার কর্মী/মতামত গ্রহণ : তাওসিফ মাইমুন/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ