একদিন পরেই শেয়ারবাজারে দরপতন
মাসুদ মিয়া: টানা চার কার্যদিবস দরপতনের পর সোমবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিলেও একদিন পর গতকাল মঙ্গলবার আবার দরপতন হয়েছে।
গতকাল প্রধান মূল্যসূচকের পতনের পাশাপাশি উভয় বাজারে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। সেই সঙ্গে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১২৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৬৮টির দাম। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টির। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৭৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৭৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৫৫ পয়েন্টে।
গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫০৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয় ৫১৫ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসাবে আগের দিনের তুলনায় ৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার কম লেনদেন হয়েছে।
টাকার অংকে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। গতকাল কোম্পানিটির মোট ৪১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডেল্টা লাইফের শেয়ার হাতবদল হয়েছে ১৯ কোটি ১৮ লাখ টাকার। ১৬ কোটি ২১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে লাফার্জ-হোলসিম।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- ফার্মা এইড, আল-আরাফাহ ব্যাংক, ড্রাগন সোয়েটার, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, ব্র্যাক ব্যাংক এবং স্কয়ার ফার্মাসিটিক্যালস।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স দশমিক ৪১ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৭৮৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকার শেয়ার ওমিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট। লেনদেন হওয়া ২৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১০৯টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির দাম।