আফগান শান্তিতে চালিকাশক্তি চীন
সাউথএশিয়ান মনিটর : অতীতে সীমিত থাকলেও আফগানিস্তানে চীনা স্বার্থ এখন ক্রমেই বাড়ছে। আফগানিস্তানে ক্রমবর্ধমান চীনা সম্পৃক্ততার প্রধান চালিকাশক্তি হচ্ছে নিরাপত্তা ও অর্থনীতি। চীনের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও এই অঞ্চলে বিনিয়োগের প্রতি সম্ভাব্য কোনো হুমকি যাতে সৃষ্টি না হয়, সেজন্য স্থিতিশীল আফগানিস্তান চায় চীন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে জঙ্গিবাদ ও চরমপন্থার প্রতি মূল সমর্থন ও অবকাঠামো নির্মূল করতে চায় চীন। যুক্তরাষ্ট্র যেখানে সামরিক উপায়ে আফগান সমস্যার সমাধান চায়, চীন তা কামনা করে না। এ কারণেই আফগান সরকারের পাশাপাশি আফগান তালেবানের আস্থাও অর্জন করতে পেরেছে চীন। ফলে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আদর্শ ভূমিকা পালনের মতো অবস্থায় রয়েছে চীন। চীনের কাছ থেকে উন্নয়ন তহবিল সংগ্রহের জন্য সাম্প্রতিক অতীতে বেইজিংয়ের শরণাপন্নও হয়েছে আফগানিস্তান। আফগান সরকারের সাথে তালেবান যাতে আলোচনায় বসে সেজন্য তাদেরকে চাপ দিতে পাকিস্তানকে প্রভাবিত করার জন্যও চীনকে রাজি করানোর চেষ্টা করছে আফগান সরকার। স্থিতিশীল আফগানিস্তানের জন্য পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে আরো ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা প্রয়োজন। চীন চায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তান নিয়ে পরস্পরকে সহযোগিতা করুক। সাম্প্রতিক পাক-আফগান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে সম্ভবত চীনা কূটনৈতিক প্রয়াস ছিল। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রথম চীন-আফগানিস্তান-পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের বৈঠকও আয়োজন করেছিল চীন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ