প্রায় দ্বিগুণ ব্যয় বাড়ছে জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা সড়ক প্রকল্পে
সাইদ রিপন : প্রায় দ্বিগুণ ব্যয় বাড়িয়ে সংশোধনীর জন্য পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব করা হয়েছে জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা সড়ক প্রকল্পের। ব্যয়ের সাথে সময়ও বাড়ছে প্রকল্পটির। এটি প্রথম পর্যায়ে ২ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চে শেষ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু এ পর্যায়ে প্রকল্পটির জন্য ৫ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করে পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব করা হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানিয়েছে, প্রকল্পটি এর আগে প্রথম সংশোধন করে ৩ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিলো। পরবর্তীতে বিশেষ সংশোধন করে এর ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা। এটি আগামী জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি দ্বিতীয় সংশোধনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে সূত্র জানিয়েছে, রাস্তার একপাশে এসএমভিটি লেন, অতিরিক্ত ফ্লাইওভার, ১৩টি আন্ডারপাস ও যাত্রী শেড নির্মাণ এবং রাজস্ব খাতে যানবাহন রেজিষ্ট্রেশন ফি, বিদ্যুৎ বিল, এনভায়রনমেন্ট ক্লিয়ারেন্স ফিসহ বিভিন্ন ফি বৃদ্ধির কারণে ব্যয় বাড়াতে হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি), ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি) এবং আবুধাবি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এডিএফডি) ঋণ দিচ্ছে। এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ বলেছেন, প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়কটি উভয়পাশে এসএমভিটি লেনসহ ছয় লেনে উন্নীতকরণ হলে দেশের উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। তাছাড়া এই মহাসড়কাংশ ব্যবহার করে ভবিষ্যতে বাংলাবান্ধা দিয়ে ভারত ও নেপাল এবং বুড়িমারি দিয়ে ভারত ও ভূটানের সঙ্গে উপ-আঞ্চলিক সড়ক সংযোগ সহজতর হবে। একই সঙ্গে জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদকাল বৃদ্ধি, বিভিন্ন অঙ্গের পরিমান ও ব্যয় বৃদ্ধিসহ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে পূর্ত কাজের ব্যয়ের কারনে মোট ৫ হাজার ৯৯৭ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৩ সালের এপ্রিল হতে ২০২০ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাবিত দ্বিতীয় সংশোধিত ডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পটির ওপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ি দ্বিতীয় সংশোধিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৫৯৩ কোটি টাকা।