বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল রুটে পরীক্ষামূলক বাস চলাচল কাল শুরু
মাছুম বিল্লাহ: বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের মধ্যে আগামীকাল সোমবার থেকে পরীক্ষামূলক বাস চলাচল শুরু হচ্ছে। এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল সড়ক পরিবহন (বিবিআইএন) চুক্তির আওতায় প্রথমবারের মতো এই বাস সার্ভিস চালু হচ্ছে। কাল সকালে ঢাকা থেকে ‘শ্যামলী এন আর ট্রাভেলস’-এর দুটি বাস ছাড়বে নেপালের উদ্দেশে। বাস দুটির প্রথম যাত্রায় অংশ নেবেন বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের সরকারি প্রতিনিধিদল ও দাতা সংস্থা এডিবির সদস্যরা।
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ঢাকা-কাঠমান্ডুর ১১০০ কিলোমিটার সড়কপথ পরিদর্শন করবেন। সড়কে বাস চলাচলের সম্ভাব্যতা যাচাই, ভাড়া নির্ধারণ এবং তিন দেশের মধ্যে বাস চলাচলের বিভিন্ন বিষয় ঠিক করবেন তারা। বিআরটিসির চেয়ারম্যান ফরিদ আহমদ ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে চার দিনের যাত্রা শেষে ২৬ এপ্রিল প্রতিনিধিদল কাঠমান্ডু পৌঁছাবে। সেখানে পৌঁছে বাস চলাচলের সিদ্ধান্ত হবে এবং প্রটোকল স্বাক্ষরের কাজ রয়েছে। এটি স্বাক্ষর হলে বিবিআইএন-এর সব রুটই চালু হয়ে যাবে। তবে তিন দেশের সম্মতি থাকলে ট্রায়াল ভিত্তিতেই ঢাকা-কাঠমান্ডু বাস চলতে থাকবে। ২৭ মার্চ এডিবির আয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সে তিন দেশের কর্মকর্তাদের কথা হয়েছে। এডিবি উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছে। বাসের প্রথম যাত্রা হবে ‘ফিজিবিলিটি স্টাডি’র মতো।
এ বিষয়ে শ্যামলী এনআর ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শুভংকর ঘোষ রাকেশ আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, আগামীকাল সোমবার সকাল ৯টায় ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের দুটি বাস যাত্রা শুরু করবে। হুন্দাই কোম্পানির প্রতিটি বাসে ২৮ সিট রয়েছে। এরপর ২৩ এপ্রিল রংপুরে রাতযাপন করা হবে। ২৪ এপ্রিল সকালে বাংলাবান্ধা বর্ডার দিয়ে শিলিগুঁড়িতে ঢুকবে বাস। এদিন রাতে শিলিগুঁড়ি অবস্থান করবে প্রতিনিধি দল। পরের দিন ২৫ এপ্রিল সকালে নেপালের কাঁকরভিটায় ঢুকবে বাস। এরপর নেপালের নারায়ণঘাট নামে একটি জায়গায় রাতযাপন করবে প্রতিনিধি দল। ২৬ এপ্রিল সকালে নারায়ণঘাট থেকে কাঠমান্ডুর পথে রওয়ানা হবে বাসটি।
তিনি বলেন, ঢাকা থেকে বাংলাবান্ধার দূরত্ব প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার। বাংলাবান্ধা থেকে নেপালের কাঁকরভিটা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৫৪ কিলোমিটার। কাঁকরভিটা থেকে কাঠমান্ডুর দূরত্ব প্রায় ৬০০ কিলোমিটার।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এহসান ই এলাহী জানান, বাসের প্রথমযাত্রা হবে ট্রায়াল রান হিসেবে। এতে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের ৪২ জনের মতো যৌথ দল যাবে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ২৫ জন, ভারতের ১১ জন এবং নেপালের ৬ জন থাকবে।
বিআরটিসি সূত্র জানায়, ২৩ এপ্রিলের পর সরাসরি যে বাস সার্ভিস চালু হবে তাতে সাধারণ যাত্রীরা খুব সহজেই নেপাল যেতে পারবেন। তিন দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এর প্রক্রিয়াগুলো চূড়ান্ত হবে।