জলঢাকায় ব্রিজ না থাকায় ৩০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ
নূর আলম সিদ্দিকী,নীলফামারী : নীলফামারী জলঢাকায় দীঘল নদীর উপর একটি ব্রীজ না থাকায় দুটি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের হাজার-হাজার মানুষকে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । নদীটির উপর ৫০ ফুট দীর্ঘ ঝুকিপূর্ণ একটি বাঁশের সাঁকো রয়েছে। সেই সাঁকোর উপর দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরাসহ এলাকার সাধারন মানুষ প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে।
বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের চিকিৎসেবা ও সাধারন চিকিৎসাসেবা নিতে দূর্ভোগে পড়তে হবে।তাই সাঁকোটি ব্রীজে পরিণত করার দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবী এলাকাবাসীর। নদীর ব্রীজটি নির্মাণে প্রতিশ্রুতি থাকলেও কথা রাখেনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা । আসছে বর্ষাকাল সাঁকোটি ভেঙ্গে যেতে পারে তাই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে হাজার-হাজার মানুষসহ এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা। তারা দ্রুত ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানান।জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়ন ও শৌলমারী ইউনিয়নের মাঝামাঝি টেক্কার মোড়ে দীঘল নদীর উপর ব্র্রীজ না থাকায় এলাকাবাসীর উদ্যোগে নির্মিত হয় একটি বাঁশের সাঁকো। দক্ষিণ কাজী পাড়া, উত্তর কাজী পাড়া, জালিয়া পাড়া, বকসি পাড়া, আছরা পাড়া, হরিয়ার মোড়, বড় বাড়ী, সুইটারী সহ ১৫ টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ এই ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে পারাপার হয়। বর্ষাকালে তীব্র শ্রোতে সাঁকোটি ভেঙ্গে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। কাজী পাড়ার ষাটয়ার্ধ আবুল কালাম জানান, ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে এখানে ব্রীজ নেই। অথচ পাকারাস্তা আছে।
আমরা নিজেরাই বাঁশ দিয়ে, কায়িক শ্রম দিয়ে এ সাঁকো নির্মাণ করেছি ওপারে যাবার জন্য। নির্বাচনের সময় প্রার্থীরা বলে জয়ী হতে পারলে ব্রীজ করে দিব। কিন্তু পরে আর ব্রীজ তো দুরের কথা তাদের দেখাও মেলে না। শৌলমারী ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাদেকুল ইসলাম বলেন, ব্রীজ না থাকায় এই অঞ্চল অবহেলিত। বর্ষা আসলে শ্রোতে সাঁকোটি ভেঙ্গে যাবে। তাই ব্রীজ নির্মাণের জন্য আমরা উর্ধতন কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী হারুন-অর-রশিদ এ প্রতিবেদককে জানান, দীঘল নদীর উপর একটি ব্রীজের খুবেই দরকার। আমাদের বর্তমান এমপি মহোদয় ব্রীজের জন্য তৎপর রয়েছেন। আশা করি দ্রুত এখানে ব্রীজ নির্মাণ হবে। সম্পাদনা: আবদুল্লাহ মজুমদার