হাতীবান্ধায় খোলা আকাশের নিচে পাঠদান
নুরনবী সরকার, হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) : শীলাবৃষ্টিতে টিন ফুটো ও প্রচ- ঝড়ে বিদ্যালয়ের টিনের চাল উড়ে যায়। ফলে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ। তাই প্রচ- রোদেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেয়া হচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। আর বৃষ্টি হলে দিতে হচ্ছে ছুটি।
সরেজমিনে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের আমঝোল নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গেলে দেখা যায় এমন দৃশ্য। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি পাঠদানের অনুমতি পায় ২০০১ সালে। ২০০৪ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি পায়। বর্তমানে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২১৮ জন। গত ৩০ মার্চ শুক্রবার সকালে প্রথমত শিলা বৃষ্টিতে বিদ্যালয়ের সব টিনের চালা ফুটো হয়ে যায়। ফুটো হওয়া টিনের মেরামত করতে না করতেই আবারো ১২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে প্রচ- ঝড়ে বিদ্যালয়ের সব টিনের চালা উড়ে যায়। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের রুমটি ঠিক থাকলেও বাকি সব শ্রেণিকক্ষ ক্লাশ নেয়ার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মাঠে প্রচ- রোদে খোলা আকাশের নিচে বেঞ্চে বসে আছে শিক্ষার্থীরা আর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ক্লাশ নিচ্ছেন শিক্ষক।
রোদ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর মাথায় বই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন জানান, ঝড়ে টিন বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ার পর থেকে খোলা আকাশের নিচে ক্লাশ নিতে হচ্ছে। এতে করে শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে। কখনো রোদে পুড়তে হয় অথবা কখনো বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। বিদ্যালয়ের নিজস্ব কোন অর্থায়ন না থাকায় কবে নাগাদ এ বিদ্যালয় মেরামত হবে তা নিয়ে খুবই দু:চিন্তায় আছেন বলে জানান তিনি। ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরিফা খাতুন জানান, ঝড়ে আমাদের বিদ্যালয়ের টিনের চালাগুলো সব উড়ে গেছে। বাধ্য হয়ে আমাদের খোলা আকাশের নিচে রোদে পুড়ে ক্লাশ করতে হচ্ছে।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, শিলা বৃষ্টি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। হাতীবান্ধা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জুলফিকার আলী শাহ জানান, আমি কয়েকদিন থেকে ছুটিতে ঢাকায় থাকার কারনে বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে দুই একদিনের মধ্যে ঢাকা থেকে ফিরে যাবো। গিয়েই ওই বিদ্যালয়ের খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান