টুঙ্গিপাড়া লবণাক্ত পানিতে হুমকিরমুখে জনস্বাস্থ্য
এমামুল হক বিশ্বাস, টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ) : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় প্রবাহমান মধুমতি নদীর পানিতে লবণের মাত্রা বেড়েছে। এ লবণ বাতাস আর পানিতে মিশে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর প্রভাব ফেলছে। নদীর নোনা পানি সমগ্র উপজেলায় ছড়িয়ে প্রাণিকূলের জীবন চক্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এতে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাবসহ নানা ক্ষতি হচ্ছে।
মধুমতি নদীতে সাগরের লবন পানির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এই নদী সেচ-কাজ থেকে শুরু করে প্রাত্যহিক জীবনের সঙ্গে জড়িত। কৃষকরা জানান, শুষ্ক মওসুমে নদীগুলোতে লবণের মাত্রা বেড়ে যায়। এ সময় তারা নদী বা খালের পানি সেচ কাজে ব্যবহার করতে পারেন না। কারণ লবনাক্ত পানি ক্ষেতে দিলে জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে ফসল হয় না।উপজেলার লেবুতলা গ্রামের রবিন নামে এক কৃষক বলেন, সেচ কাজের জন্য আমাদের নদীর পানি ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু শুষ্ক মওসুমে এই নদীর পানিতে লবণ বেশি থাকে। তখন এই পানি ব্যবহার করলে ফসলের ক্ষতি হয়। তাছাড়া কৃষিকাজে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জামাল উদ্দিন বলেন, সাধারণত নদীতে লবণ পানি তিন মাস থাকে এরপর বর্ষাকালে লবণের পরিমাণ কমতে থাকে। লবনের পরিমাণ বেশি থাকায় ফলন ও কম হয়। এছাড়া লবণ পানি ব্যবহার করলে জমি লবণাক্ত হতে পারে। তাই আমরা কৃষকদের নদীর পানি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, লবনাক্ত পানির প্রভাবে নানা রকম রোগের উপদ্রব হচ্ছে। এই পানি মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই আমরা এই পানি থেকে বিরত থেকে গভীর নলকূপ অথবা পুকুরের পানি ফুটিয়ে পান করার পরামর্শ দিচ্ছি। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান