রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহত কেউ আর্থিক সহায়তার বাইরে নেই: বিজএমইএ সভাপতি
স্বপ্না চক্রবর্তী: রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আর কোনো শ্রমিক আর্থিক সহায়তার বাইরে নেই বলে জানিয়েছেন পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহতদের সহযোগিতায় ২৮০ কোটি টাকার ফান্ড রয়েছে। গত ৫ বছরে আমরা যেখানে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে আহত হয়েছে তাদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। এখন আর নতুন করে কেউ ওই ঘটনায় আহত হিসেবে আমাদের কাছে সহায়তা চাইতে আসছে না। তাই আমরা মনে করছি আর রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতের আর কোনো শ্রমিক আর্থিক সহায়তার বাইরে নেই।
গতকাল শনিবার রানা ট্র্যাজেডির ৫ বছর সামনে রেখে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, যে কোনো দুর্ঘটনা অনাকাক্সিক্ষত। কিন্তু রানা প্লাজার দুর্ঘটনা নিয়ে এখনো অনেকে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে যাচ্ছে। রানা প্লাজায় আহতদের জন্য বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেউ বাকি থাকলে তাদের জন্যও চাকরির দরজা খোলা আছে। এসময় তিনি রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিকে সামনে রেখে কিছু এনজিও প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এসব না করে সঠিক তথ্যগুলো তুলে ধরে পোশাক শিল্পের উন্নয়নে সবার ভূমিকা রাখা দরকার। তিনি বলেন, কিছু সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে কথা না বলে গুটিকয়েক লোকের সাথে কথা বলে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যা পোশাক শিল্পের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
এ সময় তিনি জানান, রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে যারা এখনও সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেননি বিজিএমইএ নিয়মিতভাবে তাদের চিকিৎসার বিষয়টি ফলোআপ করে যাচ্ছে। আমরা ২০১৪ সালে ১১০ জন এবং ২০১৫ সালে ৭০ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিসৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি। এছাড়া অন্তঃসত্ত্বা ১২ জন নারী কর্মীর প্রত্যেককে প্রসব ও প্রসবজনিত চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য ৩৫ হাজার টাকা করে দিয়েছে।
তিনি আরো জানান, রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় ৬৭ জন শিশুর দায়িত্ব নিয়েছে বিজিএমইএ। তিনি বলেন, কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে যারা সুস্থ হয়ে কাজ চেয়েছে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এসময় তিনি জানান, রানা প্লাজার ৫টি কারখানার শ্রমিকদের জন্য বেতন ও পাওনাদি পরিশোধ, আহতদের চিকিৎসা ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনবাবদ বিজিএমইএ ১৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এর মধ্যে চিকিৎসা সহায়তা বাবদ রয়েছে ৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, বেতন ও অন্যান্য সুবিধা বাবদ ৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা, প্রধানমন্ত্রীর ফান্ডে অনুদান বাবদ ২ কোটি টাকা, প্রসূতি শ্রমিকদের সহায়তা বাবদ ৫ লাখ টাকাসহ অন্যান্য খাতে ৫ লাখ টাকা ব্যয় করেছে।
সম্পাদনা: আনিস রহমান