দুই বছর ধরে জাতীয় অধ্যাপকের পদ শূন্য
তরিকুল ইসলাম সুমন: জাতীয় অধ্যাপক নিয়োগে তিন বছর আগে কমিটি গঠন করা হলেও নেই কোনো কার্যক্রম। দুই বছরে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে পদটি শূন্য রয়েছে।
সর্বশেষ নিয়োগ পাওয়া পাঁচজন জাতীয় অধ্যাপকের তিনজন মেয়াদ চলাকালীন মারা গেছেন। বাকি দুজন মেয়াদ শেষ করেছেন প্রায় দুই বছর আগে। ফলে দেশে বর্তমানে কোনও জাতীয় অধ্যাপক নেই। জাতীয় অধ্যাপক নিয়োগ প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। অবশ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা জাতীয় অধ্যাপক নিয়োগের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু করেছে। শিগগিরই কমিটি বৈঠকে বসবে।
শিক্ষামন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সর্বশেষ ২০১১ সালের জুন মাসে পাঁচজন শিক্ষাবিদকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ না হতেই তাদের মধ্যে তিনজন মারা যান। বাকি দুজনের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৬ সালের জুনে। ‘জাতীয় অধ্যাপক’ বাংলাদেশের বিশেষ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা, যা বাংলাদেশ সরকার শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান ও গবেষণার জন্যে দেশের বিশিষ্ট প-িত, চিন্তাবিদ ও শিক্ষকদের দেওয়া হয়। ১৯৭৫ সাল থেকে এই সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে। সাধারণত পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্তি পেয়ে থাকেন। তবে ক্ষেত্রবিশেষে মেয়াদ আরও দীর্ঘ হতে পারে।
২০১৫ সালের ১৮ মে কমিটি গঠন করা হয়। শিক্ষামন্ত্রীকে সভাপতি করে গঠিত ওই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে জাতীয় অধ্যাপক পদটি প্রবর্তন করার পর থেকে এ পর্যন্ত ২২ জনকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
পুনর্নিয়োগের ব্যবস্থা আছে। জাতীয় অধ্যাপকদের কিছু শর্ত মানতে হয়।
২০১৫ সালে নতুন কমিটি গঠন এবং ২০১৬ সালের জুন মাসে সবশেষ নিয়োগ পাওয়া অধ্যাপকদের মেয়াদ শেষ হলেও নতুন করে নিয়োগ দেওয়ার দৃশ্যমান কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি।
তবে সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন জাতীয় অধ্যাপক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
অবশ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠকের উদ্যোগের কথা জানালেও এ বিষয়ে অবহিত নন কমিটির সদস্যরা। এমন কমিটি আদৌ গঠন হয়েছে কিনা, তা মনে করতে পারেননি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর এ ধরনের কোনও বৈঠকের আমন্ত্রণ পাননি। তবে কমিটির সদস্য যেহেতু তিনি রয়েছেন, নিশ্চয়ই সময়মতো বৈঠক হবে। সম্পাদনা: আনিস রহমান