‘মানবাধিকার লঙ্ঘনে শীর্ষে চীন রাশিয়া, মিয়ানমার ও উত্তর কোরিয়া’
লিহান লিমা: যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক মানবাধিকার বিষয়ক প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ি ২০১৭ সালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শীর্ষে রয়েছে চীন, রাশিয়া, ইরান, উত্তর কোরিয়া, মিয়ানমার, ভেনেজুয়েলা এবং তুরস্ক। প্রতি বছর বিশ্বের ২০০টি দেশের ওপর জরিপ চালিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তালিকা প্রকাশ করে। শুক্রবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে চীন, রাশিয়া, ইরান এবং উত্তর কোরিয়ার সরকারকে ‘অস্থিতিশীল’ বলে মন্তব্য করা হয়েছে। ২০১৭ সালে বৈশ্বিক পরিস্থিতির ওপর পর্যবেক্ষণ করে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে মার্কিন ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন সুলিভান মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য মিয়ানমার, সিরিয়া, তুরস্ক এবং ভেনিজুয়েলার সরকারের নিন্দা জানিয়েছেন।
জন সুলিভান জানান, ‘এই প্রতিবেদনে বাকস্বাধীনতা লঙ্ঘন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বাধা, গণমাধ্যমকর্মীদের কাজের ওপর রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ, সংখ্যালঘুদের নির্যাতন, জাতিগত দমনমূলক কার্যক্রমের বিষয়গুলো উঠে এসেছে।’
চীন ঃ এই প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনা প্রশাসন নির্বিচারে আটক, নির্যাতন মৃতুদ-, বাক-স্বাধীনতা হরণের মত মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত। এছাড়া দেশটির মুসলিম সংখালঘূ উইঘোর জনগোষ্ঠি এবং তিব্বতের নাগরিকদের চলাফেরা ও ধর্মীয় অধিকারের ওপর বাধা আরোপের অভিযোগ রয়েছে।
রাশিয়াঃ পূর্ব ইউক্রেনে হস্তক্ষেপ, চেচনিয়ায় রাষ্ট্রকর্তৃক এলজিবিটিদের(গে, লেসবিয়ান, উভকামি, তৃতীয় লিঙ্গ) ওপর সহিংসতা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে রাশিয়ার অন্যতম ইস্যু। আরও রয়েছে বিচারবর্হিভূত হত্যাকা-, কৌশলগত নির্যাতন, নির্বিচারে আটক, রাজনৈতিক বন্দিত্ব, বিচারবিভাগের স্বাধীনতার অভাব, গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপ।
উত্তর কোরিয়াঃ প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া মৌলিক মানবিক অধিকারের প্রতিটি ক্ষেত্রই লঙ্ঘন করেছে। জীবনের সাধারণ কার্যক্রমেও সেখানে বিধি-নিষেধ রয়েছে।
সিরিয়াঃ প্রতিবেদনে সিরিয়ার মানবাধিকার ‘ভয়াবহ’ পর্যায়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করা হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় বারংবার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার, আবাসিক এলাকায় বোমা হামলা, ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট ও স্থাপনা ধ্বংস, চিকিৎসা সামগ্রী নষ্ট, মৃতুদ-, ধর্ষণ, যুদ্ধাস্ত্র, গণহত্যা, ক্ষুধা, বাস্তুহারা নাগরিকদের শরণার্থীতে পরিণত হওয়ার মত নৃশংস ঘটনাগুলো বলে দেয় দেশটিতে মানবাধিকার নির্মমভাবে ভুলুণ্ঠিত হয়েছে।
মিয়ানমারঃ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালের পুরোটা সময় জুড়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখালঘু রোহিঙ্গারা জাতিগত নিধনের শিকার হয়েছে। রাখাইনে নির্বিচারে গ্রেপ্তার, আটক, হত্যাকা-ের মত ঘটনা ঘটেছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আটক, সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার ও গণমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
তুরস্কঃ ২০১৬ সালে ব্যর্থ সামরিক অভ্যূত্থানের পর দেশটির সরকারের ওপর সাংবাদিক ও আইনপ্রণেতাসহ হাজারো নাগরিকদের আটক, জরুরি অবস্থার সুযোগে নির্বিচারে নির্যাতন, গুম, আটক-গ্রেপ্তারের মত ঘটনা ঘটেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
ভেনেজুয়েলাঃ প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটিতে মাদুরো সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘন করেছে। ডিডব্লিউ।