নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সাধারণ ছাত্র পরিষদের নেতারা
আহমেদ জাফর: কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। কোটা সংস্কারের দাবিতে পুরো সাধারণ ছাত্র সমাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ টিএসসি ও আশপাশের এলাকায় সকল ছাত্রছাত্রী জড়ো হয়ে আন্দোলন করে। এরপরই প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষণা করেন। তারপরও থামছে না এর রেষ।
একের পর এক ছাত্রছাত্রীদের মারধর, হল থেকে বের করে দেয়াÑ এ রকম অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেই চলেছে।
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুরু আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সারাদেশের কমিটির নেতারা, সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আমাদের ওপর জীবননাশের হুমকি আসছে। শুধু তাই নয়, আমাদের পরিবারও হুমকির মুখে আছে। আমরা যখন ক্যাম্পাস এবং ক্যাম্পাসের বাইরে চলাফেরা করি তখন কিছু লোক আমাদের পিছু নেয়। আমরা কোথাও স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারছি না। কিছু কিছু লোক আমাদের নামে ফেসবুকে ফেক আইডি খুলে মিথ্যা, বানোয়াট কথা লিখে আপলোড করে ষড়যন্ত্র করেছে। এই বিষয় নিয়ে আমরা খুব শঙ্কিত। আমাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে একের পর এক হুমকি দিচ্ছে। আমরা আতঙ্কে রয়েছি।
সুফিয়া কামাল হল থেকে গত ১৯ এপ্রিল গভীর রাতে কিছু ছাত্রীদের বের করে দেয়া হয়। এর প্রতিবাদ করায় এ.এফ. রহমান হলের ছাত্র ইয়াছিনকে হলে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এসব কার্যকলাপে একজন ছাত্রের অধিকার হরণ হচ্ছে। এর আগেও ২৬ জন ছাত্রীকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। পরে সবাইকে হলে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা সাধারণ ছাত্ররা আতঙ্কে থাকি। আমাদের নিরাপত্তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং সরকারকে জানানো হয়েছে।
১৬ এপ্রিল রাশেদ খান, ফারুক হাসান এবং নুরুল হক নুরু- তিনজনকে গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে থেকে হাত ও চোখ বেঁধে উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা সবাই সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক। পরে জিজ্ঞাসা করে ছেড়ে দেয়া হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে করে এবং কোটা সংস্কারের আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীসহ বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাদের নিরাপত্তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন শেষে প্রতিবাদ মিছিল বের হয়। সম্পাদনা: আনিস রহমান