আমাকে ঘোষণা করা হল প্রধান শ্রোতা
জুয়েল আইচ
এক জবর কান্ড ঘটেছে। অসংখ্য কবির মধ্যে আমি ছিলাম ‘হংস মাঝে বক যথা’। জাতীয় গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের সেমিনার কক্ষে আয়োজিত হয়েছিল ‘ সংস্কৃতি বনাম অপসংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুষ্ঠান মালা। পশ্চিম বঙ্গের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কবি বিপ্লব মাজী এবং এই অধমকে ক্রেস্ট, উত্তরীয় ও চমৎকার ফুলের তোড়া দিয়ে সম্মাননা দেয়া হল। তুখোড় সব কবিরা ছাড়াও ছিলেন চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম, নাট্যব্যক্তিত্ব পিযূষ বন্দোপাধ্যায়, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভিসি ড. আনোয়ার হোসেন, প্রতিষ্ঠিত কবি হাবিবুল্ল্হা সিরাজীসহ অসংখ্য বড় মানুষেরা। ছবিতে আমার হাতে ক্রেস্ট তুলে দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি জনাব আরেফিন সিদ্দিকীকেতো দেখতেই পাচ্ছেন। বিস্ময়ের বিষয়টি অন্যত্র। আমাকে ঘোষণা করা হল প্রধান শ্রোতা। আমিতো অবাক। এমন কথা জীবনেও শুনিনি। আমি একা মঞ্চের মাঝখানে বসা। স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করে যাচ্ছেন সেরা সব কবিরা। কবি বিপ্লব মাজীর হ্যান্ডসাম পুত্র দেবতনু মাজী কবিতা আবৃত্তি করতে পোডিয়ামে দাঁড়িয়েছেন। বললেন, গতকাল পদ্মাপারে বসে আমরা অনেক্ষণ মজার আড্ডা মারছিলাম। হঠাৎ দেখি কবি আবু হাসান শাহরিয়ার গাছের গোড়ায় গোড়ায় জল ঢালছেন। ব্যাপার কি? জিজ্ঞেস করতেই তিনি বললেন, এতক্ষণ গাছের ছায়ায় বসে আরাম করে আড্ডা মারলাম। ওরা আমাদেরকে পাতা দিয়ে ছায়া দিল। বাতাস করে গেল। ওদেরকে কিছু দেওয়ার দায়িত্ব কি আমাদের নেই? অভিভূত দেবতনু বলে চলললো, বিভিন্ন ভাষার অনেক বড় বড় কবিদের আমি দেখেছি। কিন্ত সত্যিকার প্রকৃতি প্রেম জীবনে এই প্রথম দেখলাম। প্রণাম কবি প্রণাম।
পরিচিতি : জনপ্রিয় জাদুশিল্পী/ফেসবুক থেকে