বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া অর্থ আনতে কোর্টের বাইরে চেষ্টা করছেন অর্থমন্ত্রী
বিশ্বজিৎ দত্ত : চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত আনতে আদালতের বাইরে সমঝোতার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই সমঝোতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর রয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহম্মদ রাজী হাসান জানিয়েছেন, আইনী প্রক্রিয়ায় অর্থ ফেরত পাওয়া অনেক সময়ের ব্যাপার। তাছাড়া এটি ব্যয় সাপেক্ষ। কোর্টে অনেক প্রমাণ দিতে হবে। কোর্টের বাইরে সমঝোতা হলে উভয় দিক দিয়েই সুবিধা হয়। তবে টাকা উদ্ধার না হলে আদালতের বিষয়টিতো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতেই রয়েছে। আমরা সকল উপায়েই চেষ্টা করছি অর্থ দেশে আনার। অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় অংশ নেন অর্থমন্ত্রী। এসময় ফিলিপাইন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নেসটর ইসপেনিয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। নেসটর অর্থমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন তিনি কোর্টের বাইরে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করবেন। এ বৈঠকের পর চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে নেসটর ফিলিপাইনের রিজাল কমার্সিয়াল ব্যাংককে চিঠি দেন কোর্টের বাইরে বিষয়টি সমাঝোতা করা যায় কিনা তা ভেবে দেখার।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১০১ মিলিয়ন ডলার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যাংক থেকে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকে চলে যায়। সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। পরে রিজাল ব্যাংক থেকে কিছু অর্থ শ্রীলংকা ও তাদের দেশের ক্যাসিনোতে ব্যয় হয়। ইতোমধ্যে শ্রীলংকা থেকে ২০ মিলিয়ন ডলার ফেরত আনা হয়েছে। কিন্তু রিজাল ব্যাংক বাকি অর্থ ফেরত দিতে অস্বীকার করছে। তাদের যুক্তি হলো, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ অনুসারেই তাদের ব্যাংকে টাকা এসেছে। তারা তাদের ক্লায়েন্টকে টাকা দিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক আরসিবিসির বিরুদ্ধে একটি ক্রিমিনাল মামলা দায়ের করেছে। নিউ ইয়র্কেও ফেডারেল ব্যাংকের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি ল ফার্ম মামলাটি পরিচালনা করছে।