ব্যাংক ও আর্থিক খাতে লুটপাট চলছে: বাম মোর্চা
রফিক আহমেদ: গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী বক্তব্যে বলেছেন, বর্তমান সরকারের শাসনামলে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতের টাকা লুটপাট, স্বেচ্ছাচারিতা ও বিদেশে অর্থপাচার হচ্ছে। এছাড়া ব্যাংক খাতে লুণ্ঠনের প্রতিবাদে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ২৯ এপ্রিল দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ কমরেড নির্মল সেন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল হক, অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, মোশরেফা মিশু, ফিরোজ আহমেদ ও রণজিত কুমার প্রমুখ। বাম মোর্চার নেতারা বলেন, জাতীয় নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের খাতে লুটপাট, দুর্নীতি ও অর্থপাচার তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিনিয়োগের নামে ঋণ নিয়ে হাজার হাজার কোটি আত্মসাৎ হচ্ছে বা বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। সরকার যেভাবে দলীয় বিবেচনায় বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ পরিচালনা বোর্ডের সদস্য নিয়োগ দিয়েছে তা ব্যাংকগুলোকে ক্রমে নিঃস্ব ও দেউলিয়া করে তুলেছে। সরকারি সোনালি, জনতা, ফারমার্স ও বেসিক ব্যাংকে হরিলুটকারী অপরাধীদের গ্রেফতার-বিচার ও শাস্তি প্রদান না করে, লুট করা টাকা উদ্ধার না করে আবার রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা এসব ব্যাংকে ঢালা হচ্ছে।
নেতারা বলেন, বেসরকারি ব্যাংকসমূহের পরিচালনায় সাম্প্রতিক যে পরিবর্তন হয়েছে তা এসব ব্যাংকগুলোকে কার্যত পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পর্যবসিত করেছে। সম্প্রতি বেসরকারি ব্যাংক মালিকদের চাপে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নগদ জমা সংরক্ষণ (সিআরআর) শতকরা ১ শতাংশ কমানো হয়েছে এবং নজিরবিহীনভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠানের তহবিলের শতকরা ৫০ শতাংশ অর্থ বেসরকারি ব্যাংকে রাখার বিধান করা হয়েছে। সরকারের এসব তৎপরতা ব্যাংকিং খাতে লুটপাট ও স্বেচ্ছাচারিতাকে আরো উৎসাহিত করবে।
নেতারা আরো বলেন, ডেসটিনি-যুবক পর্যায় পার হয়ে হলমার্ক, বিসমিল্লা গ্রুপ প্রভৃতি কেলেঙ্কারিতে যে নতুন পর্যায়ের লুণ্ঠনের সূচনা, বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা পাচার হয়ে ফারমার্স ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংক পর্বের মধ্যদিয়ে তারই চূড়ান্ত বিকাশ দেখা যাচ্ছে। সম্পাদনা: আনিস রহমান