মিরপুরে গ্যাস লাইন বিস্ফোরণ স্ত্রী-সন্তানের পর স্বামীও চলে গেলেন
সুশান্ত সাহা: রাজধানী ঢাকার মিরপুরে গ্যাস লাইনের ত্রুটি থেকে অগ্নিকা-ে সাত মাসের এক শিশু ও তার মায়ের মৃত্যুর পর মারা গেলেন শিশুটির স্বামী মানিকও। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মানিকের শরীরের ৯৬ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। দুদিন আগে মিরপুরের ওই অগ্নিকা-ের ঘটনায় দগ্ধ মানিক মিয়ার পরিবারের তিনজনের কেউই আর বাঁচল না।
গত মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে মিরপুর ১১ নম্বর সেকশনের চার নম্বর রোডের পাঁচতলা ওই বাড়ির নিচতলার একটি ঘরে ওই অগ্নিকা- ঘটে। বাড়ির কেয়ারটেকার মানিক স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নিচতলার ওই ঘরে থাকতেন।
আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মানিকের সাত মাস বয়সী ছেলে তামিমকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে বুধবার দুপুরে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তামিমের মা মিনা আক্তার (২২)। তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানিয়েছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বলছে, গ্যাসের সংযোগ লাইনে ছিদ্র থাকার কারণে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তবে তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির জরুরি বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক আরমানুর রেজা ভূঁইয়া বলেন, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে গ্যাসলাইনে ছিদ্র হওয়ার প্রমাণ মেলেনি। তিতাসের মূল সরবরাহ পাইপ থেকে বাসার পাইপের সংযোগস্থল ও চুলা অক্ষত ছিল। ফলে গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ ঘটেনি বলেই ধারণা করা হচ্ছে।