বিজেপি নেতা সুব্রমনিয়াম স্বামীকে রাজ্যসভা থেকে বহিষ্কারের দাবি
পার্সটুডে : ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার এমপি ও বিজেপি’র সিনিয়র নেতা সুব্রমনিয়াম স্বামীকে রাজ্যসভা থেকে বহিষ্কারের দাবি জানালো আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করে স্বামীর আপত্তিকর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ও দাবি জানানো হয়।
সুব্রমনিয়াম স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘সন্ত্রাসবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদী মতাদর্শের দুর্গ’ বলে অভিহিত করেছেন। ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে স্বামীর ওই মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মকসুর আহমদ উসমানী বলেন, “রাজ্যসভার এমপি’র ওই মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক। আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়। সে সম্পর্কে এ ধরণের মন্তব্য করা ভুল। আসলে ওনার মানসিক পরিস্থিতি ঠিক নেই। ছাত্ররা জানে মানসিক রোগের চিকিৎসা কীভাবে করতে হয়। তিনি বলেন, এধরণের বিবৃতি এজন্য দেয়া হয়েছে যে, সামনেই ২০১৯ সালের নির্বাচন। স্বামী নির্বাচনে হিন্দু-মুসলিম বিভাজন করতে চাচ্ছেন। মকসুর আহমদ উসমানী প্রধানমন্ত্রীকে টার্গেট করে বলেন, “স্বামীর বিবৃতি প্রসঙ্গে ওনার কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি যদিও উনি ‘এক ভারত এবং শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর কথা বলে থাকেন। স্বামী আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ হাজার ছাত্র ও শিক্ষকের উপরে দাগ দেয়ার পাশপাশি ছাত্র ও শিক্ষাকর্মীদের অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছেন। এজন্য ওকে ক্ষমা চাইতে হবে অন্যথায় তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হবে। তিনি বলেন, ‘এধরনের কথা বলা লোকেরা ওরাই যারা গান্ধীকে হত্যা করেছিল এবং গডসের মতাদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এটা পরিহাসের বিষয় যে দেশের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ বলছেন সেক্যুলার মানসিকতার মানুষজন আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকেন। কিন্তু স্বামী অন্য কথা বলছেন। তাকে স্পষ্ট করতে হবে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিনি ভিন্নমত পোষণ করেন কী না।’ স্বামীর বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগ করে তিনি বলেন, এরফলে তার বিভেদমূলক মানসিকতা স্পষ্ট হয়েছে। মাসকুর আহমেদ উসমানী বলেন, প্রেসিডেন্টকে চিঠি দিয়ে সুব্রমনিয়াম স্বামী বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে যা বলেছেন তা আমলে নিয়ে সেসম্পর্কে পদক্ষেপ করাসহ তার রাজ্যসভার সদস্যপদ বাতিল করার দাবি জানানো হবে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ