ট্রাফিক আইন অমান্য তিন মাসে জরিমানা ১৪ কোটি টাকা
সুজন কৈরী: রাজধানীতে গত তিন মাসে (জানুয়ারী-মার্চ) ট্রাফিক আইন অমান্য করার অভিযোগে বাস-মিনিবাস, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে প্রায় ২ লাখ ২৮ হাজার মামলা করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। এছাড়া জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এছাড়াও এই সময়ের মধ্যে নিয়মিত মামলার পাশাপাশি ভিডিও মামলা হয়েছে প্রায় ২৪ হাজার। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় ডিএমপি সদর দফতরে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ আয়োজিত এক ত্রৈমাসিক (চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ) সভায় এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের কোনো রকম জনহয়রানিমূলক আচরণ না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছ্দুজ্জামান মিয়া।
ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, সভায় প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে গত তিন মাসে ট্রাফিকের চারটি বিভাগের মামলা ও জরিমানার পরিসংখ্যান দেখানো হয়। এছাড়া সভায় সকল ফুটপাত দখলমুক্ত করা, রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখলে নির্মাণ সামগ্রীর মালিককে আটকে রাস্তা পরিস্কারের ব্যবস্থা করা, রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি করে মেরামত না করে ফেলে রাখলে ওই ঠিকাদারকে আটকে মেরামতের ব্যবস্থা করা, ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে দোকান বসালে তা উচ্ছেদ করা এবং হকারমুক্ত রাস্তা ও ফুটপাত করা, রাস্তার উপর যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করলে রেকারিং করা ও ইন্টার সেকশন ম্যানেজমেন্ট সঠিকভাবে করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
সভায় ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের পেশাদারিত্ব ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি সড়কে দায়িত্ব পালনকালে সকল রাগ, অনুরাগ, আবেগ পরিহার করে ধৈর্য ধরে এবং কোনো রকম জনহয়রানিমূলক আচরণ না করার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
কমিশনার বলেন, সড়কের শৃঙ্খলা ধরে রাখতে ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে। নীতিমালা অনুযায়ী ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের ইন্টার সেকশন ম্যানেজমেন্ট ও টেল ম্যানেজমেন্ট করতে হবে। ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করলে তাকে মামলা দিতে হবে। উদ্দেশ্যমূলক ও জনহয়রানিমূলক মামলা দেয়া যাবে না। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে কাজ করতে হবে। আইন ভঙ্গ করলে নিয়মিত মামলার চেয়ে বেশি বেশি ভিডিও মামলা করতে হবে। ফ্লাইওভার ও ইন্টার সেকশনে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা লাগানোর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আইন ভঙ্গ করলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মামলা দিতে হবে।