শীঘ্রই জাতীয় মেধাসম্পদনীতি চূড়ান্ত হচ্ছে: শিল্পমন্ত্রী
স্বপ্না চক্রবর্তী : মেধাসম্পদ সৃষ্টি ও সুরক্ষায় খুব শীঘ্রই জাতীয় মেধাসম্পদনীতি চূড়ান্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত থাকলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় শিল্প মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে জাতীয় মেধাসম্পদনীতির খসড়া তৈরি করেছে। সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে আলোচনা করে এটি চূড়ান্ত করা হবে। এ নীতিতে সৃজনশীল উদ্ভাবনে নারীদের অংশগ্রহণ ও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানোর বিষয়টি অধিক গুরুত্ব পাবে বলে জানান তিনি।
শিল্পমন্ত্রী গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে “ক্ষমতায়নের পরিবর্তন : উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতায় নারী” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস্ অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) এর আয়োজন করে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্র সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এমপি। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থান করেন ট্রিম ট্রেক্স বাংলাদেশ লিমিটেডের স্বত্ত্বাধিকারী সাহিদা পারভীন। অনুষ্ঠানে ডিপিডিটি’র রেজিস্ট্রার মোঃ সানোয়ার হোসেন স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এতে সৃজনশীল নারী উদ্যোক্তা ও পেশাজীবী, সংস্কৃতিসেবী, প্রযুক্তিবিদ, উদ্ভাবক, শিক্ষাবিদ, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী নেতারা আলোচনায় অংশ নেন।
এসময় আমির হোসেন আমু বলেন, জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি ও আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার সৃজনশীল মেধাসম্পদের সুরক্ষা ও পৃষ্ঠপোষকতার নীতি গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৬ তে নতুন উদ্ভাবন ও বুদ্ধিভিত্তিক সম্পদের সুরক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এর আলোকে মেধাসম্পদ সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সংগতি রেখে বাংলাদেশের ট্রেডমার্কস আইন, কপিরাইট আইন ইত্যাদি আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে। আধুনিক করা হচ্ছে পেটেন্ট ও ডিজাইন আইন। বিশেষ ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী পণ্যের মালিকানা সুরক্ষায় জিআই ‘ল’ প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আওতায় জাতীয় মাছ ইলিশ এবং ঐতিহ্যবাহী জামদানিকে জিআই সনদ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, সভ্যতার শুরু থেকেই কৃষি উৎপাদনে নারীরা অবদান রেখে আসছে। নারীর মমতা ও সৃষ্টিশীলতা সভ্যতার বিকাশে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। মানুষ সৃষ্টির সেরা ও বুদ্ধিমান জীব বলেই মানুষের আবিষ্কারও বিশ্বসেরা। এ শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার হতে ক্ষেত্র বিশেষে অবৈধ প্রতিযোগিতার ফলে মেধা সম্পদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।