রোজিনার দেহে কৃত্রিম পা প্রতিস্থাপন করতে না পারার আশঙ্কা
রিকু আমির : ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাস চাপায় ডান পা হারানো গৃহকর্মী রোজিনার দেহে কৃত্রিম পা প্রতিস্থাপন করতে না পারার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার তার চিকিৎসায় গঠিত নয় সদস্যের মেডিকেল বোর্ড সদস্য অধ্যাপক সাজ্জাদ খন্দকার জানান, রোজিনার ক্ষতস্থানে দেখা গেছে, হাঁটুর উপর থেকে পা বিছিন্ন হয়ে গেছে। এ অবস্থায় কৃত্রিম পা প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়ে উঠে না। তার শরীরের অন্য কোনো আঘাত নেই। তবে তিনি মোটামুটি ভালো থাকলে তাকে শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য এই অধ্যাপকের। ঢামেকের প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে গঠিত এই মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা হলেন- শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের উপদেষ্টা অধ্যাপক সামন্ত লাল সেন, ঢামেক বার্ন ইউনিটের অধ্যাপক সাজ্জাদ খন্দকার, অধ্যাপক রায়হানা আওয়াল সুমি, অধ্যাপক নওয়াজেশ খান, ঢামেকের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. শামসুজ্জামান শাহীন, ঢামেকের কিডনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক নিজাম উদ্দীন চৌধুরী, ঢামেকের রেসপাইরেটরি মেডিসিনের অধ্যাপক মহিউদ্দীন আহমেদ এবং বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক লুৎফর কাদের লেলিন।
অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, তার ডান পা হারানো ছাড়াও অন্য সমস্যা আছে কি-না তা দেখে যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে এ বোর্ড গঠন করা হয়েছে। আজ (গতকাল বৃহস্পতিবার) তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়েছিল। সেখানে তার পায়ের ক্ষতস্থান ড্রেসিং করা হয়েছে। পায়ে স্কিন সার্জারি প্রয়োজন আছে।
জিটিভির এডিটর ইন চিফ সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার বাসার কর্মী ময়মনসিংহের মেয়ে রোজিনা গত ২০ এপ্রিল রাতে বনানীতে বাস চাপার শিকার হন। এতে তার ডান পা থেঁতলে যায়, পরে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে অপারেশন করে তা কেটে ফেলেন চিকিৎসকরা। পরে ক্ষতস্থানে সেপ্টিসেমিয়ার সংক্রমণে পচন ধরলে ডান পায়ের অংশ আরও কেটে ফেলা হয় দ্বিতীয় অপারেশনের মাধ্যমে। কিন্তু অবস্থা ক্রমাগত অবনতির দিকে অগ্রসর হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করেন পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
তার বাবার নাম রসুল মিয়া ও মা রাবেয়া বেগম। আট বছর আগে জীবনের প্রথম গৃহকর্মী হিসেবে রোজিনা কাজ শুরু করেন সৈয়দ ইশতিয়াক রেজার বাসায়। রসুল-রাবেয়া দম্পত্তির ৬ মেয়ে ও ২ ছেলের মধ্যে রোজিনা দ্বিতীয়।