সিটি নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ে সতর্ক কমিশন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সেনা মোতায়েন নয়: ইসি
সাইদ রিপন : গাজীপুর ও খুলনা সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় কোনো নির্বাচনেই সেনা মোতায়েন করা হবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসি মনে করছে, যদি প্রয়োজন হয় তাহলে অতিরিক্ত র্যাব, পুলিশ ও বিজিবি দিয়েই সব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এছাড়া দুই সিটি নির্বাচনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেনো কোনোভাবেই অপপ্রচার না হয় সেদিকে সতর্ক থাকবে কমিশন। গতকাল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দুই সিটি নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে সভা শেষে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে এ সভায় অপর ৪ কমিশনার, ইসি সচিব, পুলিশ মহাপদির্শক, বিজিবি ও র্যাবের মহাপরিচালক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা-গাজীপুরের প্রশাসন-পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে সিইসি বলেন, বিগত দিনে আপনাদের সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন সফলভাবে পরিচালনা করেছি। সভা শেষে ইসি সচিব বলেন, স্থানীয় নির্বাচনে কোনোভাবেই সেনা মোতায়েন করা হবে না। কমিশন থেকে আগেও বলা হয়েছে, বিজিবি-র্যাব-পুলিশসহ আধা সামরিক বাহিনী থাকবে পর্যাপ্ত সংখ্যক। প্রয়োজনে দেশের যে কোনো এলাকা থেকে আরও বেশি নিরাপত্তা সদস্য আনা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিশনের প্রতি আস্থা রয়েছে বলেই বিএনপি সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।
তফসিল ঘোষণার পর থেকেই এই দুই সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। সিইসির সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে লিখিত প্রস্তাবও দিয়েছে দলটি। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অবস্থান এর বিপরীতে।
হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিলো। ভোটে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানোর শঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অপপ্রচার ও গুজব ছড়ানো যাতে না হয়, সেজন্যে কিভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা যায় বা গুজব ছাড়ানো বন্ধ করা যায় তা নিয়ে মিডিয়া কর্মী ও বিটিআরসির সাথে মতবিনিময় করা হবে। এ দুই সিটি নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে কিনা জানতে চাইলে সচিব বলেন, স্বল্প পরিসরে কিছু কিছু ওয়ার্ডে ইভিএম ব্যবহারের চিন্তা আছে ইসির।
এছাড়া অভিযোগ থাকলেও গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুণ অর রশীদকে প্রত্যাহার না করার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইসি সচিব। এই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে নিতে বিএনপির দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসতে হবে। সেখানে তিনি (এসপি) অসহযোগিতা করছে কিনা দেখতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা বা কেউ কোনো অসহযোগিতার রিপোর্ট দেয়নি। সম্পাদনা: মোহাম্মদ রকিব হোসেন