‘তারেক রহমান পাসপোর্ট পাবেন না, তবে দেশে আসতে পারবেন’
সুজন কৈরী : পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান জানিয়েছেন, পাসপোর্টের সঙ্গে নাগরিকত্ব থাকা না থাকার কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের কাছে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নেই। অচিরেই তার নতুন করে পাসপোর্ট পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই। পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) না থাকায় এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ায় তিনি পাসপোর্ট পাবেন না। তবে পাসপোর্ট না থাকা সত্ত্বেও চাইলে তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারবেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আগারগাঁওয়ে পাসপোর্ট অধিদফতরের কনফারেন্স হলে যুক্তরাজ্যে অবস্থানকারী তারেক রহমানের পাসপোর্টের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান বলেন, বিদেশে অবস্থানকারী যে কোনো বাংলাদেশি পাসপোর্ট না থাকলেও দেশে ফিরতে পারেন। সেইসঙ্গে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের কাছে এখন কোনো পাসপোর্ট নেই বলেও জানান। তিনি বলেন, তারেক রহমানের এখন কোনো পাসপোর্ট নেই। তার কাছে যে পাসপোর্ট ছিল সেটা ২০১৪ সালে উনি জমা দিয়েছেন। এরপর নতুন করে পাসপোর্টের জন্য আর কোনো আবেদন করেননি। পাসপোর্ট ছাড়াই তিনি যুক্তরাজ্যে অব¯’ান করছেন। তবে কীভাবে সেখানে অবস্থান করছেন সেটা যুক্তরাজ্যের সরকার জানেন।
পাসপোর্ট অধিদফতরের এ ডিজি বলেন, তারেক রহমান ২০০৮ সালে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। তখন তার পাসপোর্ট ছিল হাতে লেখা, মেশিন রিডেবল ছিল না। ২০১০ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০১৪ সালে তিনি ওই পাসপোর্ট সারেন্ডার করেন। এখন নতুন পাসপোর্ট নিতে হলে তার ন্যাশনাল আইডি কার্ড লাগবে। যা তার নেই। জাতীয় পরিচয়পত্র নিতে হলে অবশ্যই দেশে আসতে হবে। এ সময় পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে বা মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও যে কোনো বাংলাদেশি দেশে ফিরতে পারবেন জানিয়ে মাসুদ রেজওয়ান বলেন, তারেক রহমান দেশে আসতে চাইলে বাংলাদেশ অ্যামবেসির মাধ্যমে তাকে ট্র্যাভেল পাস নিতে হবে। এটা স্বেচ্ছায় নিতে হবে। জোর করে দেওয়া হবে না। আর না চাইলে সেটা তার ব্যাপার। তবে সরকার তাকে আনতে চাইলে কীভাবে আনবে এটা সরকার ও আইনের ব্যাপার। তিনি আরও জানান, তারেক রহমান সাজাপ্রাপ্ত আসামি। ১৯৭৬ সালের পাসপোর্ট আইন অনুযায়ী, কোনো মামলায় সাজার মেয়াদ দুই বছরের বেশি হলে আসামিকে পাসপোর্ট দেওয়া হয় না। আমরাও দেবো না। তবে কোনো আসামি সাজার আগেই পাসপোর্ট নিয়ে থাকলে তা ফেরত নেওয়া হয় না। তবে ওই আসামিকে দেশ ত্যাগ করতে দেওয়া হয় না।