ভারতের পক্ষে কথা বলায় জনমনে প্রশ্ন তৈরি করেছে: কাদেরের বক্তব্যের জবাবে ফখরুল
শিমুল মাহমুদ: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভারত সফর শেষে তার এক বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ভারত বাংলাদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে না’ -কথাটার অর্থ কী? কেউ কী বলেছে যে ভারত বাংলাদেশের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে? আর উনাকে কি ভারত দায়িত্ব দিয়েছে, এই কথাটা বলার জন্য?
ফখরুল বলেন, কিছুদিন আগে ১৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল আমাদের প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র ভারত সফর করে আসলো। এ ধরনের সফরকে আমরা খুব ভালো মনে করি। ভারতের ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তারা দেশে ফিরে এসব কী বললেন?
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত বৌদ্ধ নাগরিক আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ভারতের পক্ষে উনাকে (কাদের) এই দায়িত্ব কে দিলো তা আমাদের জানা নেই। আমার কাছে মনে হয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটা একটা বড় সমস্যার সৃষ্টি করবে। কারণ, ভারতের পক্ষে কথা বলার অধিকার তো তাকে কেউ দেয়নি।
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জনগণকে নিয়ে আপনারা ক্ষমতায় আসুন, জনগণ ভোট দিক আপনাদেরকে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আপনারা ক্ষমতায় আসুন আমাদের কারও আপত্তি নেই। তাহলে কেন, কী কারণে আপনারা দেশনেত্রীকে আটকে রেখেছেন? কী অপরাধ তার? একটা মিথ্যা, সাজানো, বানোয়াট মামলা দিয়েছেন তার নামে।
তারেক রহমানের নাগরিকত্ব নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আমার তো কিছু বলার দরকার নেই। ডিজিই তো সব বলে দিয়েছেন। আপনারা বারবার কেন এই বিষয়টি সামনে নিয়ে আসছেন আমি বুঝতে পারছি না। ইট ইজ এ ডেথ ইস্যু। এটা নিয়ে এখন আর কথা বলার কিছু নেই।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। আজকের এই সরকার বিনা ভোটের সরকার। মানুষ তাদের কাছে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চায়। বিচার বিভাগকে তারা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষ এখন কার কাছে যাবে, কোথায় যাবে? এই ফ্যাসবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে পরাজিত করতে হবে। সম্পাদনা: আনিস রহমান