গারো পাহাড়ে চা চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা
মো. আব্বাস উদ্দিন, ঝিনাইগাতী (শেরপুর) : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা সীমান্ত অঞ্চলের ৩টি রেঞ্জের আওতাধীন প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর চা-চাষের জন্য উপযোগী জমি রয়েছে। এসব জমিতে চা চাষাবাদের উজ্জল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ইতোপূর্বে চা চাষের উপযোগিতা যাচাই-বাছাই করা হয়। গারো পাহাড়ের মাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উপযোগী প্রমাণিত হলেও উদ্যোগের অভাবে আজো তা গড়ে উঠেনি। গারো পাহাড়ের ৩টি রেঞ্চের আওতাধীন এলাকাগুলি হলো- মালাকোচা, কর্ণঝোড়া, তাওয়াকোচা, গুরুচরন-দুধনই, পানবর, বাকাকুড়া, ভালুকা, ছোটগজনী, গান্দিগাঁও, হালচাটি, গজনী, নওকুচি, রাংটিয়া, ডেফলাই, শালচূড়া, সন্ধ্যাকুড়া, গোমড়া ও হলদিগ্রাম, সমশ্চুড়া, মধুটিলা, বারোয়ামারী। যথাযথভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে এখানে চা চাষাবাদ করে প্রচুর পরিমানের অর্থ আয় ও বেকারদের কর্মসংস্থানের পথ উন্মুক্ত হবে বলে মনে করেন চা গবেষকরা। আশার কথা, ইতোমধ্যে বেসরকারি কোম্পানি ভিসাইনের পক্ষ থেকে চা চাষাবাদের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। চা-গাছের চারাও উৎপাদন কাজ শুরু করা হয়েছে। মে মাসের প্রথম থেকেই চারা রোপন কাজ শুরু করা হবে বলে জানান, ভিসাইনের মালিক মো. আমজাদ হোসেন ফনিক্স। গতকাল রোববার আনুষ্ঠানিক ভাবে চা-বাগান সৃষ্টির লক্ষ্যে কিছু জমিতে চারা রোপনএবং চা বাগান করতে ইচ্ছুক কয়েকজন লোকের মাঝে চা-গাছের চারাও বিতরণ করা হয়। সীমান্তের কৃষকরা ধান ও সবজি চাষ করে বন্যহাতির তা-বের কারণে ফসল ঘরে তুলতে পারে না। এসব এলাকায় চায়ের বাগান করা কৃষকরা লাভবান হবে বলে মনে করছেন অনেকে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান