হিলি স্থলবন্দরের সাথে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে
সাইদ রিপন: হিলি স্থলবন্দরের সাথে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে নতুন একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এ স্থলবন্দরটি ভারতের সাথে আমদানি-রপ্তানিতে দেশের রাজস্ব আহরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। কিন্তু এ বন্দরের সাথে সংশ্লিষ্ট সড়কগুলোর অবস্থা খারাপ হওয়ায় যানবহন চলাচলে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে। এজন্য জয়পুরহাটের হিচমী-পুরান আইপল-পাঁচবিবি-হিলি শহরের মহাসড়ক উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় উপস্থাপনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে এটি চলতি অর্থবছর থেকে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর। প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৭ কোটি টাকা।
সড়ক ও জনপথ অধিদফতর জানায়, জয়পুরহাট-পাঁচবিবি-হিলি এবং জয়পুরহাট বাইপাস সড়ক দুটি জয়পুরহাট জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়ক দুটি হিলির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে। আমদানি করা পণ্য ও নির্মাণ সামগ্রী এই সড়ক দুটি দিয়ে হিলি স্থলবন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিবহন করা হয়ে থাকে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য জুয়েনা আজিজ বলেন, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে হিলি স্থলবন্দরের সঙ্গে সারা বাংলাদেশের পণ্য পরিবহন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ প্রকল্প এলাকার জনসাধারণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে। প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে, এক দশমিক ৩১ লাখ ঘনমিটার সড়ক বাঁধে মাটির কাজ, ২৪ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার বিদ্যমান পেভমেন্ট প্রশস্তকরণ, ৬৫০ মিটার হার্ড সোল্ডার নির্মাণ, ৪০০ মিটার রিজিড পেভমেন্ট, ৫০০ মিটার নতুন ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট নির্মাণ, ১০ মিটার আরসিসি কালভার্ট নির্মাণ এবং ১৮টি আরসিসি কালভার্ট প্রশস্তকরণ ইত্যাদি আনুষঙ্গিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। সম্পাদনা: আনিস রহমান