নারী রাজি না থাকলে ধর্ষণ
মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান
সম্পর্ক গড়ার প্রথম ধাপ প্রস্তাবনা দেওয়া। প্রথম প্রস্তাবটাই তো এক ধরনের নির্যাতন। যদি অন্যপক্ষ গ্রহণ না করে, তাহলে এটা নির্যাতন। গ্রহণ করার পরে এটা প্রেমে রুপান্তারিত হয়ে, বিয়ে পর্যন্ত যায়। এমন কোন নারী অফিসার দেখাতে পারবেন না, যেখানে ভিতরে ভিতরে এগুলো হচ্ছে না। বাসের ড্রাইভার বা হেল্পার রাতের বেলায় যখন একজন মহিলা যাত্রী পাবে, মানব চরিত্রের পাশাপাশিই তো পাশবিক চরিত্র। কৃষ্ঞ করলে কৃষ্ঞলীলা রাধায় করলে দোষ। বড় বড় অফিসারেরা প্রতিনিয়ত অফিসে বসের আসনে বসে যৌন হয়রানী করতে পারলে, বাসের ড্রাইভারেরা কেন পারবে না? এটা আমাদের সামাজিক সমস্যা। আমাদের বিবেক বুদ্ধি দিয়ে কাজ করলে কখনোই যৌন হয়রানীর মতো নিন্দনীয় ঘটনা আমাদের চোখে পড়বে না। যখন নারী রাজি হয়ে যায়, তখন এটা ধর্ষণ হয় না। আর যখন নারী রাজি না হয়, তখন সেটা ধর্ষণ হয়ে যায়। এটা দু’পক্ষের বেলায়ই হয়। আমি মনে করি, যৌন হয়রানী আসলে সামাজিক সমস্যা, সামাজিক মূল্যবোধের সমস্যা, পারস্পরিক সম্মান বা শ্রদ্ধা প্রদর্শণ না করার ফলাফল। সামাজিক মূল্যবোধই যদি না থাকে, পরস্পরের মধ্যে সম্মানবোধ না থাকলে, এরকম অঘটন ঘটতেই থাকবে।
পরিচিতি : সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপি / মতামত গ্রহণ : মো. এনামুল হক এনা / সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ