ছাত্রলীগের কমিটি সিলেকশনে ‘খুশি তৃণমূলের নেতারা’
আহমেদ জাফর: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে, ছাত্রলীগের নীতি নির্ধারকদের মতামতের ভিত্তিতে সিলেকশনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হবে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
আর এ পদ্ধিতি খুশি তৃণমূলের ত্যাগি, সৎনিষ্ঠাবান,নেতারা।
তৃণমূলের নেতারা মনে করেন, সিলেকশনের মাধ্যমে নেতা নির্বাচন করা হলে কোনো সিন্ডিকেট হওয়ার সুযোগ নেই। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী নিজেই নির্দেশ দিয়েছেন। দলর জন্য যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন,বিপদের সময় হাল ধরে দলকে টিকিয়ে রাখছেন সেই যোগ্য ত্যাগি নেতদেরকে নতুন নেতৃত্বে আনা হবে।
বরিশাল জেলার মুলাদি থানার সাবেক ছাত্রলীগের অ্যাপয়ান সম্পাদক মো. সুমন আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, সিলেকশনে ছাত্রলীগের নির্বাচন করলে অনেক ভাল হবে। এতে করে মূল আওয়ামী লীগের নেতা বেরিয়ে আসবে। পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে মেধাবী, পরিশ্রমী, যোগ্য, পরীক্ষিত ও স্বচ্ছ ইমেজের অধিকারীদের নেতৃত্বে নিয়ে আসা হবে। এ ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের বলয় থেকে বের হয়ে এসে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী তার হস্তক্ষেপে কমিটি হোক এটাই চাই আমরা। আর তাতে দলের মধ্যে কোনো কোন্দল থাকবে না এবং অন্য কোন দলের লোক সুবিধা নিতে পারবে না। কোনো লবিং আর কাজ করবে না।
পটুয়াখালীর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক চৌদুরী আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত খুবই যুগান্তাকারী সিদ্ধান্ত।তাকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি যে একজন দক্ষ্যনেত্রী বিশ্বের মধ্যে আরো একবার প্রমাণ করে দিলেন। এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব আরো একধাপ এগিয়ে গেল। সিলেকশনের মাধ্যমে ছাত্রলীগের কমিটি দেয়া হলে, দলের ত্যাগি নেতারা ওঠে আসবে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একনেতা আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, আমরা চাই যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে রাজপথের রড়াকু সৈনিক, দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছে, মেধাবী, দলীয় সংগঠনের নেতাকর্মী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে জনপ্রিয় এবং জাতীয় নির্বাচনে যেকোন অপশক্তির মোকাবিলা করতে পারবে। এমন যোগ্য নেতৃত্বের হাতেই ছাত্রলীগের নেতৃত্ব তুলে দেয়া উচিত।
কয়েকদিন আগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তের ছাত্রলীগের সম্মেলন এবং ছাত্র রাজনীতির মূলকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মেলন হলেও কোনো কমিটি দেয়া হয়নি। যাচাই বাচাই করে যোগ্য ত্যাগি,আওয়ামী পরিবারের সদস্যকে আনা হবে নতুন নেতৃত্বে। এ সিদ্ধার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানাই।