রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথ খুঁজবে জি-৭: ট্রুডো
তরিকুল ইসলাম : রেহিঙ্গা সংকট সমাধানের পথ খুঁজবে ‘জি-৭।’ শিল্পোন্নত দেশগুলোর এই জোট তাদের আগামী সম্মেলনে গুরুত্বের সাথে বিষয়টি আলোচনা করবে। জোটের ৪৪ তম সম্মেলনটি আগামী ৮ ও ৯ জুন কানাডায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সম্মেলনের আয়োজক দেশ কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এ নিয়ে বলেছেন, সামনের জি-৭ এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে চলমান রোহিঙ্গা সংকটকে অর্ন্তভুক্ত করেছি। এই বিষয়টি এখন বৈশ্বিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি উদ্বেগের।
গত ১৬ এপ্রিল ব্রিটেনের এশিয়া বিষয়কমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড দেশটির পার্লামেন্টে এমপিদের একাধিক প্রশ্নের জবাবে বলেন, রোহিঙ্গা সংকটটি নিয়ে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী জি-৭ এর সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে আলোচনা করবেন। বৈঠকে সম্মিলিতভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যাতে এই সংকটের সমাধান হয়। বৈঠক থেকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শক্ত বার্তাও দেওয়া হবে। চলমান রোহিঙ্গা বিষয়টি খুবই উদ্বেগের।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন গত ফেব্রুয়ারিতে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চল পরিদর্শন করেন। সে সময় জনসন বলেন, রাখাইনের ঘটনায় আমি হতবাক। অঞ্চলটিতেধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। শত শত ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের ঘরে ফেরার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আমি অং সান সুচির সঙ্গে আলাপ করেছি। কিন্তু সুচি ঘটনার ভয়াবহতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানেন কিনা, এই বিষয়ে আমি সন্দিহান।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর রোহিঙ্গা বিষয়ক বিশেষ দূত বব রায়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সফর করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। তার প্রতিবেদনটি জি-৭ এর সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে। গত ফেব্রুয়ারিতে কানাডায় ফিরে বব রায়ে বলেন, এ সংকট নিয়ে এই বিষয়ে সকলের কথা বলা প্রয়োজন। আরও অনেক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করার বিষয়ও রয়েছে। এখন যেমন চলছে এমন ভাবে কোনো সমাধান আসবে না।