চাটমোহরে আধাপাকা ধান কাটছে কৃষকরা
মিজান তানজিল ও জাহাঙ্গীর আলম : কাল বৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টি হওয়ায় পাবনার চাটমোহর উপজেলার কৃষকরা বোরো ধান ঘরে তোলা নিয়ে শংকায় রয়েছেন। ফলন বিপর্যয়ের আশংকা থাকলেও ইতোমধ্যে অপেক্ষাকৃত নিচু জমির আধাপাকা ধান কাটা শুরু করেছেন তারা। উপজেলার বোয়াইলমারী, খলিশাগাড়িসহ আশে-পাশে বিলে ধান কাটছেন কৃষকরা। এদিকে ধান কাটার জন্য শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। কয়েকবার শিলাবৃষ্টি বোরো ধানের ক্ষেত আক্রান্ত হয়েছে। অধিক টাকা মজুরি দিয়েও সময়মতো মিলছে না কৃষি শ্রমিক। প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও শ্রমিক সংকট চলতে থাকলে কৃষকের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। চাটমোহর উপজেলায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। স্থানীয় ও উফশী ছাড়াও আবাদ হয়েছে হাইব্রিড ধানের।
উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানায়, চলতি মৌসুমে চাটমোহরে প্রায় ৯ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ হাজার ৪শ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮শ হেক্টর জমিতে অতিরিক্ত বোরো আবাদ হয়েছে। ধানের ফলনও ভাল হচ্ছে। এবার হাইব্রিড ধান আবাদ করে কৃষক বাম্পার ফলন ফলিয়েছেন। ‘তেজ’ ও ‘সুপার রাইস’ নামের দুটি হাইব্রিড ধান পরিকল্পিতভাবে চাষ করার কারণে একর প্রতি ফলন হয়েছে ১০৫ মণ। স্থানীয় ও উফশী জাতের ফলন হয়েছে একর প্রতি ৭০ মণ। উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ধানের আবাদ হয়েছে। উপজেলার ধানকুনিয়া গ্রামের কৃষক রেজাউল করিম জানায়, ৬ বিঘা নিচু জমিতে বোরো ধানের চাষ করেছেন। বৃষ্টিতে জমির মধ্যে প্রায় এক ফুট পানি জমে গেছে। বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ধান ডুবে যেতে পারে এ আশংকায় আধা পাকা ধান কেটে ফেলছেন তিনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাসান রশিদ হোসাইনী জানায়, চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান
প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কৃষক ভালোভাবেই ফসল ঘরে তুলতে পারবেন। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান