ঠাকুরগাঁওয়ে কাউন চাষ
সাইফুল ইসলাম প্রবাল, ঠাকুরগাঁও : আধুনিক উচ্চ ফলন শীল ধানসহ বহু মাত্রিক ফসল চাষের প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে সুস্বাদু ও পুষ্টিসমৃদ্ধ দানাদার খাদ্য কাউনের চাষ বিলুপ্তের পথে। তবে ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকায় সাথী ফসল হিসেবে কাউনের চাষ হচ্ছে ।
গরিবের খাদ্য বলে পরিচিত খরাসহিষ্ণু ও রোগবালাই মুক্ত এ ফসল প্রায় ৩৫ বছর আগে ঠাকুরগাঁওসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে ব্যাপক আবাদ হতো । এই ফসল উঠতো জৈষ্ঠ্য ও আষাঢ় মাসে । সময়ের পরিবর্তনে কৃষিপ্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনে উচ্চ ফলনশীল ও লাভজনক ফসল চাষে ঝুঁকে পড়ছে কৃষক ।এ কারণে কাউন চাষে আগ্রহ নেই চাষিদের । সদর উপজেলার উত্তর হরিহরপুর গ্রামের কৃষক ইসহাক আলী জানান, কৃষি প্রযুক্তির উন্নতির হওয়ায় তিনি কাউন চাষ ছেড়ে দিয়েছেন । কাউনের বদলে ভুট্টা, বোরো ধান সহ সবজি চাষ করছেন তিনি । রায়পুর গ্রামের প্রতাব চন্দ্র রায় বলেন তাদের এলাকায় অনেকে সাথী ফসল হিসেবে কাউন চাষ করছেন । তিনি বলেন এক সময় এলাকার সবাই কাউনের চাষ করতো । সেচ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে কৃষক এখন কাউন চাষ লাভ জনক না হওয়ায় তারা উচ্চ ফলন শীল ধান ও সবজি চাষ করছে । উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আানিছুর রহমান বলেন, কাউন চাষে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে জেলার হাট-বাজারে প্রতিকেজি কাউনের চাল বিক্রি হচেছ ৯০ থেকে ১শ টাকা দরে । ভোজন বিলাসীরা এই চাল কিনছে পায়েস,পিঠা ও নাড়– তৈরির জন্য। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান