বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আফগানিস্তানে নিহত সাংবাদিকদের প্রতি শ্রদ্ধা
ইমরুল শাহেদ : গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। এই দিনে গত সোমবার আইএসের জোড়া বোমা বিস্ফোরণ ও আত্মঘাতী হামলায় আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে নিহত ১০ সাংবাদিকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। হামলায় ১০ সাংবাদিকসহ ২৯ জন নিহত হন। আহত হন আরও ৪৫ জন। নিহতদের মধ্যে বিবিসির সাংবাদিক ও এএফপির প্রধান ফটোসাংবাদিক শাহ মারাইও ছিলেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের উপ-পরিচালক ওমর ওয়ারাইস বলেন, ‘আফগান সাংবাদিকরা বিশ্বে সবচেয়ে সাহসী। তারাই সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে কাজ করেন। শুধু চাকরি করার জন্যই তারা হুমকি পান, সহিংসতা শিকার হন। সাংবাদিকতা মানেই আপনার জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে নিয়ে যাওয়া। তারপরও নির্যাতিতের কণ্ঠ তুলে ধরতে বদ্ধপরিকর তারা।’ কাবুলে প্রথম বোমা বিস্ফোরণের পর ৯ জন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সেখানেই ভুয়া প্রেসকার্ড নিয়ে যান দ্বিতীয় হামলাকারী। পরের বিস্ফোরণেই প্রাণ হারান সাংবাদিকরা। এই ঘটনাটি ঘটেছিল আফগানিস্তানের খোস্ত প্রদেশে। নিহতদের মধ্যে ছিলেন টোলো নিউজ, ওয়ানটিভি, রেডিও ফ্রি ইউরোপ এবং মাশাল টিভির কর্মীরা। তারপরেও সাংবাদিকরা এই ঘটনা নিয়ে শংকিত হননি। তারা যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটিতে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
ঘটনার পরপরই আফগানিস্তানের নিউজ এডিটর ও নির্বাহীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা কোনো জঙ্গির তোয়াক্কা করেননি। আফগানিস্তানের দৈনিক হাস্ত-ই-সুবহর এডিটর ইন চিফ পারউইজ কাওয়া বলেন, ‘বিশ্ব মুক্ত সংবাদপত্র দিবস আমাকে এবং রিপোর্টিংয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আমার সহকর্মীদের স্মরণ করবে। তারা গতিশীল গণতন্ত্রের পক্ষে রিপোর্ট করছে এবং জনগণের প্রয়োজন ও চাহিদা অনুসারে তথ্য সরবরাহ করছে। আমাদের জন্য আজকের দিনটি হলো অঙ্গীকার করার এবং আত্মত্যাগীদের স্মরণ করার।’
আফগানিস্তানের জার্নালিস্ট সেফটি কমিটির মতে, ২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৮০ জন সংবাদকর্মী নিহত হয়েছেন। ডন