রাজনৈতিক অদূরদর্শিতার কারণে দক্ষিণ এশিয়ার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়
দিল্লিতে সংলাপে ড. আতিউর রহমান
জাফর আহমদ: দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও মানসিক সম্পর্ক বহুযুগের। ভৌগোলিক সম্পর্কও খুবই নিবিড়। এ সম্পর্কের পথ ধরেই এক সময় রেল ও নদী নির্ভর সংযোগ বিদ্যমান ছিল এই উপ-অঞ্চলে। কিন্তু রাজনৈতিক অদূরদর্শিতার কারণে এই সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অনেকদিন পর আবার এই উপ-অঞ্চলের সংযোগ বাড়ানোর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষ এই উদ্যোগকে ইতিবাচক ভাবে নিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দিল্লির মেট্রোপলিটন হোটেলে সিইউটিএস ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত আঞ্চলিক সংলাপে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. আতিউর রহমান এ কথা বলেন। আন্তঃসংযোগ ও জীবন জীবিকার ওপর প্রভাব বিষয়ের সংলাপের সভাপতি হিসেবে আতিউর রহমান এ কথা বলেন। সংলাপে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মতলুব আহমেদ, সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, উন্নয়ন সমন্বয়ের অ্যামিরেটস ফেলো ড. এ কে এনামুল হক এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আতিউর রহমান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার আন্তঃবাণিজ্য এশিয়ান অঞ্চলের চেয়ে পাঁচ গুণ কম। বাংলাদেশ-ভুটান-ইন্ডিয়া-নেপাল ও মিয়ানমারের উপ-অঞ্চলে আন্ত:বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে এই সংযোগ সাধারণ মানুষের জীবনমানের ক্ষেত্রে বারো ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে।
এই উপ-অঞ্চলের প্রতিনিধিরা প্যানেলিস্ট হিসেবে সীমান্ত অঞ্চলের বর্তমান অবস্থা এবং মটর ভেহিকেল চুক্তির পরবর্তী অবস্থা তূলনামুলক আলোচনা করেন। প্যানেলিস্টদের আলোচনার সূত্র ধরে ড. আতিউর রহমান এর চুক্তির প্রভাব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশিজনদের সাথে নিবিড় আলোচনার আহবান জানান। অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমকে এই উপ-আঞ্চলিক উদ্যোগের ইতিবাচক প্রভাব জনগণের কাছে তুলে ধরার অনুরোধ করেন।
আতিউর রহমান বলেন, সব কিছুর কেন্দ্রকে মানুষকে রাখতে হবে। তাদের কর্মসুযোগ বাড়াতে হবে। এটা শুধু বাণিজ্য কোরিডোর হবে না। এটা হবে অর্থনৈতিক কোরিডোর। সীমান্ত এলাকার মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য মানবিক উন্নয়নের দিকে আমাদের নজর দিতে হবে। সে জন্যে সব চেয়ে অবহেলিত নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। সম্পাদনা: আনিস রহমান