নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে হারবে আওয়ামী লীগ
আবুল খায়ের ভূঁইয়া
আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে যারা আছেন, তাদের সমন্বয়ে সেখানকার স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে গণসংযোগ করা হয়। মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে আমরা ধানের শীষে ভোট চাই! সেজন্য কেন্দ্র থেকে খুলনা এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে । এখানে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন পদের নেতৃত্ব আছে, তারাই সেখানে যায়। সন্ত্রাসী তো সেখানে আসার কথা না! আর তাছাড়া বিএনপি সন্ত্রাসে বিশ্বাসি না। বিএনপির সাথে সন্ত্রাসের কোন সর্ম্পক নেই। আমাদের সাথে জনগণ আছে, আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করছি। ইতিমধ্যে আপনারা দেখেছেন, সারা বাংলাদেশে সন্ত্রাস এবং নৈরাজ্য কারা সৃষ্টি করে? কারা ভোট কেন্দ্র দখল করে? গত ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কারা বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে সন্ত্রাসী হামলা করেছে? এবং সেখানে পুলিশের সামনে অস্ত্র উচিয়ে দেখিয়েছিল কারা? এখনো সেই চিত্র দেখা যায়। সারা বাংলাদেশে যত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, তাদের নিজেদের আভ্যন্তরীণ গোলাগুলি, ছাত্রলীগের গোলাগুলি, যুবলীগের গোলাগুলি তারা নিজেরাইতো এগুলো করছে । তাদের কাছেই তো যত সব বৈধ-অবৈধ অস্ত্রসস্ত্র ! সন্ত্রাসীরা তো তাদের কাছে । বিএনপি বা বিএনপির সাথে জোটবদ্ধ কোন সংগঠন সন্ত্রাসে বিশ্বাস করে না। আমরা জনগণকে বিশ্বাস করি। জনগণ হলো আমাদের মূল শক্তি, যার জন্য আমরা প্রত্যেকটা জনগণের কাছে যাচ্ছি। আমাদের স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারা প্রত্যেক ভোটারের কাছে যাচ্ছেন। যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়, তাহলে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে হারবে আওয়ামী লীগ! তবে সেরকম কোন লক্ষণ দেখি না, তবে শেষ পর্যন্ত আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাবো। জনগণের কাছে তাদের ভোট চাওয়ার কোন যৌক্তিকতাও নেই। বর্তমান সরকার জনগণের উপকারে আসে এমন কোনো কাজ করেনি, যার জন্য জনগণ তাদের ভোট দিবে। নির্বাচনকে তাদের পক্ষে নেওয়ার জন্যই তারা আবল তাবল বকছে। এ সকল ধরনের কাজ তাদের উত্তরসূরিরা করেছে, এখন তারাও করছে। তারা বিএনপির গণসংযোগকে ভয় পায়।
পরিচিতি : সাবেক এমপি, বিএনপি /মতামত গ্রহণ : তাওসিফ মাইমুন/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ