চলনবিলে ১০ হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে
জালাল উদ্দিন, নাটোর : টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলের পানিতে আত্রাই ও নাগরের পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে ইতোমধ্যে নাটোরের সিংড়ার চৌগ্রাম,তাজপুর,ইটালি,ডাহিয়া বিলে প্রবেশ করেছে। এতে করে উপজেলার ১০ হেক্টর জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে, ৫০ হেক্টর জমির ধান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া কয়েকদিনের ঝড় ও শীলাবৃষ্টিতে উপজেলার আড়াই হাজার হেক্টর জমির ধান শুয়ে পড়েছে। এদিকে শ্রমিক সংকটে ধান ঘরে তোলা ও আগাম কৃত্রিম বন্যায় ডুবে যাওয়া ফসল নষ্ট হওয়ার দুঃচিন্তায় আছে চলনবিলের কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে সিংড়া উপজেলার আত্রাই এবং নাগর নদীর পানি বেড়েছে। চৌগ্রাম,তাজপুর,ইটালি ও ডাহিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি বিলে পানি প্রবেশ করেছে। এতে করে শেষ সময়ে এসে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে দুঃচিন্তায় আছে কৃষকরা। এবার উপজেলায় ৩৮ হাজার ১শ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে শতকরা ৬৫ ভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। উত্তর দমদমা গ্রামের কৃষক শমসের জানান, ২৫বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছিলাম। হঠাৎ টানা বর্ষণ ও ঢলের পানিতে ফসল ডুবে গেছে। শ্রমিকদের অধিক টাকা দিয়ে ধান কেটে নিতে হচ্ছে। তারপরও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের স্বপ্ন এখন পানির নিচে।
চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা জানান, ইউনিয়নের সারদানগর বাঁধ দিয়ে চলনবিলে পানি প্রবেশ করেছে এতে করে ইউনিয়নের অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। সিংড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, উপজেলায় ধান কাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে। গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও বাতাসে উপজেলার ১০ হেক্টর জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে, ৫০ হেক্টর জমির ধান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
। তাছাড়া প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর জমির ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। নিচু ও খালের চাষ করা ধান ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়া বেশির ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে।
তবে কদিন বৃষ্টি না হয়ে রোদ হলে জমিতে জমে থাকা বৃষ্টির পানি শুকিয়ে যাবে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান