ধর্মান্তর থেকে বাঁচতে এক হিন্দু নারীর ডিসির কাছে আবেদন
বিশ্বজিৎ দত্ত: মেয়ের বিয়ের জন্য প্রতিবেশি ৩ মুসলীম ধর্মাবালম্বি ব্যাক্তির কাছ থেকে টাকা ধার নেয়। দরিদ্র সেলুন ব্যবসায়ী সনজীত শীল টাকা পরিশোধ করতে পারছিলেন না। তাকে প্রস্তাব দেয়া হয়, যদি মুসলীম হয়ে যাও তবে টাকা পরিশোধ করতে হবে না। সনজীত শীলের কাছ থেকে একটি হলফ নামাও নেয়া হয়। সেখানে লিখা হয়, আমি মুসলমান হয়ে গেলাম। তারপরে চলতে থাকে সনজিত শীলের পরিবারের লোকের উপর নানা ধরনের নির্যাতন ও হুমকি ধামকি। তোমরাও ধর্মান্তরীত হও। কিন্তু প্রতিবাদে নেমে যান স্ত্রী শোভারানী শীল। অস্বীকার করেন ধর্মান্তর। তাই গত ১ মে বান্দবান জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন নিজেদের ধর্ম রক্ষার জন্য।
সেখানে শোভারাণী লিখেন, বান্দরবান পৌরসভার ওয়াপদা রোড এলাকায় তাদের সেলুনের ব্যবসা রয়েছে। স্বামী সনজিত শীল ও তার ছেলে দোকানটি চালায়। তাদের বাসা বান্দারবান পৌর এলাকারই ৯ নম্বর ওয়ার্ডে। এই এলাকার ৩ মুসলিম সম্প্রদায়ের লোক, মোহম্মদ জলিল, মোহম্মদ শামীম ও সামু মাঝি আমার স্বামীকে ধমান্তরের জন্য জোর করে হলফনামায় সাক্ষর করিয়েছে। এখন আমাদের উপরও নানা ভাবে হুমকিধামকি দিচ্ছে। আমরা নিজ ধর্মের প্রতি আস্থাশীল। ইসলাম ধর্মের প্রতি আমাদের কোন আগ্রহ নাই । ওই ধর্মগ্রহনের কোন ইচ্ছাও নাই। আমার স্বামীকেও জোর করে হলফনামায় সাক্ষর করানো হয়েছে।
এ বিষয়ে শোভারাণীর সঙ্গে টেলিফোনে য়োগাযোগ করা হলে তিনি ডিসি বরাবর দরখাস্তের একটি স্কান কপি পাঠিয়ে দেন। পরে বলেন, আমাদের আপনারা রক্ষা করেন। আমাদের উপর নানাভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। আমরা ধর্মান্তরিত হতে চাই না।