রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন চায় বাংলাদেশ: ১৪ মে আলোচনা
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: আগামী ১৪ মে নিরাপত্তা পরিষদে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর করা প্রতিনিধি দলটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের সরেজমিন প্রতিবেদন তুলে ধরবেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বক্তব্য তুলে ধরবে প্রতিনিধি দলটি। বাংলাদেশ এই আলোচনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে নিরাপত্তা পরিষদের হস্তক্ষেপ ও একটি সুনির্দিষ্ট রেজ্যুলেশনের দাবি জানিয়েছে প্রতিনিধি দলের কাছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র আরও জানিয়েছে, ১৪ মে এ বিষয়ে আলোচনার বিষয়টি বাংলাদেশকে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ নিরাপত্তা পরিষদের কাছ থেকে কি ধরণের পদক্ষেপ আশা করছে? বাংলাদেশের প্রতিনিধি ওই আলোচনায় অংশ নিতে পারবে বলেও জানা গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা এই প্রসঙ্গে বলেছেন, সরেজমিন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পর প্রতিনিধি দলটি মিয়ানমার যাবার সময় বলেছে, তারা এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশের পাশে থাকবে। এরপর মিয়ানমার সরকারকেও তারা দ্রুত সংকট সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এক্ষেত্রে তারা আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিতে মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেতা অং সান সুচিকে আহ্বান জানিয়েছে। ১৪ মের বৈঠকে এ বিষয়ে প্রতিনিধি দল তাদের সরেজমিন প্রতিবেদন তুলে ধরবেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ১৪ মের বৈঠকে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রতিনিধি থাকার সুযোগ থাকতে পারে। বাংলাদেশ অবশ্যই আলোচনায় অংশ নেবে এবং নিরাপত্তা পরিষদের এই সংক্রান্ত রেজ্যুলেশন চাইবে। তাছাড়া রোহিঙ্গা বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠিও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়াল আলম বলেছেন, আশা করছি চীন ও রাশিয়া তাদের অবস্থান পরিবর্তন করবে। বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ সমাধান চায়। নিরাপত্তা পরিষদ থেকে বাধ্যতামূলক রেজ্যুলেশন চাই আমরা।
উল্লেখ্য, গত ৯ মাসে নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমার নিয়ে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে এবং একটি বাধ্যতামূলক রেজ্যুলেশনের প্রস্তাব এসেছে। চীন ও রাশিয়া ভেটো দেওয়ার কারণে ওই রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়নি। নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিদল গত ২৮ এপ্রিল থেকে ২ মে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর করে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখে গেছেন।