অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে কারারক্ষীরা গত ১০ দিনে ৫ কারারক্ষী বরখাস্ত
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : কারাভ্যন্তরে কখনো মোবাইল ব্যবহার, কখনো মাদক সরবরাহ আবার কখনো হাজিরানামার পরিবর্তে জামিননামা পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে কারারক্ষীদের বিরুদ্ধে। এসব বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের কঠোর নির্দেশনার পাশাপাশি বিভাগীয় মামলা ও শাস্তি দেয়ার পরও অপরাধকা-ে জড়িয়ে পড়ছেন কতিপয় কারারক্ষী। গত ১০ দিনে একজন ডেপুটি জেলারসহ ৪ কারারক্ষীকে বরখাস্ত ও তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৩ মার্চ কেন্দ্রীয় কারাগারে গাঁজা পাওয়ায় ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট ৪ কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়। এরা হলেন, কারারক্ষী সোহেল, রাজিব, রাজু ও শামীম। এদিকে জব্দ করা ৫৯ পিস ইয়াবা আত্মসাৎ করে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মোমিনুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কারা অধিদফতর। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের নির্দেশ দেয়া হয়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব রহমান বলেন, ৫ মাস আগে এক কারারক্ষীর কাছ থেকে ৫৯ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছিল। এ বিষয়ে দায়ের করা বিভাগীয় মামলার আলামত হিসেবে ইয়াবাগুলো মোমিনুলের কাছে সংরক্ষিত ছিল। কিন্তু মোমিনুল সেই ইয়াবা আত্মসাৎ করে শাকিল নামে একজনের কাছে বিক্রি করে দেন। পরে কারা কর্তৃপক্ষ শাকিলকে আটক করে ইয়াবাগুলো উদ্ধার করে। বগুড়ার বাসিন্দা মোমিনুল ইসলাম প্রেষণে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এর আগে গত বছরের ১৯ জানুয়ারি হাজিরানামার পরিবর্তে জামিননামা পাঠানো এবং তাতে কারাগার থেকে চাঞ্চল্যকর ইয়াবা মামলার দুই আসামির মুক্তি পাওয়ার ঘটনায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের দুই ডেপুটি জেলার মনির হোসেন এবং আবদুর রউফকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর মধ্যে আবদুর রউফ কয়েক মাস আগে চট্টগ্রাম কারাগারে যোগদান করলেও মনির হোসেন প্রায় সাড়ে ৩ বছর ধরে চট্টগ্রাম কারাগারে কর্মরত আছেন।
এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কারারক্ষীদের অপরাধে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে কঠোর অবস্থানে কারা কর্তৃপক্ষ। এরপরও দু’একজন জড়িয়ে পড়ছে। তবে আগের তুলনায় অনেকটাই কমে এসেছে অপরাধ। গোয়েন্দারা সতর্কাবস্থায় রয়েছেন। এরপরও কোনোরকম অনিয়ম পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হয় বলে জানান তিনি। সম্পাদনা: মোহাম্মদ রকিব হোসেন