এবার নওগাঁয় ভটভটির চাপায় পা হারানো স্কুলছাত্রের মৃত্যু রাজধানীতে বাসচাপায় পিষ্ট হলো পোশাক শ্রমিকের পা
সুজন কৈরী ও আশরাফুল নয়ন: নওগাঁয় ভটভটির চাপায় ডান পা হারানো স্কুলছাত্র নিলয় (১৫) মারা গেছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে শহরের বাইপাস সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিলয় নওগাঁ শহরের মাস্টারপাড়ার আফতাব মোল্লার ছেলে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছে দুইজন হলেন- মাস্টারপাড়ার রানা হোসেনের ছেলে রাকিব হোসেন (১৬) ও সদরের বরেন্দ্র অফিস এলাকার জেমসের ছেলে সাদমান (১৬)। তারা সবাই নওগাঁ কেডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে নিলয়সহ তিন বন্ধু মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়। নিলয় মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিল এবং অপর দুই বন্ধু রাকিব হোসেন ও সাদমান পেছনে বসা ছিল। শহরের বাইপাস ব্রিজ এলাকা থেকে শান্তাহারের দিকে যাওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ভটভটি মোটর সাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেল নিয়ে তারা রাস্তায় ছিটকে পড়ে। ফলে নিলয়ের ডান পা হাঁটু থেকে আলাদা হয়ে যায়।
এ সময় নিলয়ের সঙ্গে থাকা রাকিব হোসেন ও সাদমান গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। তবে নিলয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সমিত কুমার কুন্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজধানীতে বাসচাপায় পিষ্ট হলো পোশাক শ্রমিকের পা: রাজধানীর মালিবাগ মোড়ে এবার বাসচাপায় পা পিষ্ট হয়েছে নিলুফার ইয়াসমিন নামের এক নারী পোশাক শ্রমিকের। গতকাল বিকালের এ ঘটনায় আহত ওই নারীকে শেরে বাংলা নগরের পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তাকে উদ্ধারকারী এক পথচারী সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার সময় তিনি রিকশায় ছিলেন। মালিবাগ মোড়ে পৌঁছার পর দেখতে পান মতিঝিল টু বনানী ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের (৬ নম্বর) একটি চলন্ত বাস থেকে নামতে গিয়ে পড়ে যান ওই নারী। সঙ্গে সঙ্গে ওই বাসেরই পেছনের চাকায় তার ডান পায়ের পাতা চাপা পড়ে পিষ্ট হয়। তিনি আরো জানান, পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিলুফার ছেলে আশিকুর রহমান বলেন, আমরা আদাবর এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকি। আমার মা আদাবরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আসরাফ কবির জানান, নিলুফার ডান পায়ের পাতা পিষ্ট হয়েছে। পায়ের আঙুল কাটা পড়তে পারে। পায়ের এক্সরে করতে দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট দেখার পর তা বোঝা যাবে। ওই নারীকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সম্পাদনা: আনিস রহমান