আজ ঢাকা ঘোষণায় শেষ
তরিকুল ইসলাম: রাজধানীতে অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৫তম সম্মেলন শুরু হয়েছে গতকাল। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দু’দিন ব্যাপী শুরু হওয়া এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।‘ঢাকা ঘোষণা’র মাধ্যদিয়ে আজ শেষ হবে মুসলিম জোটের এ সম্মেলনটি। এর আগে ১৯৮৩ সালে ঢাকায় প্রথম ওআইসি সম্মেলন হয়েছিলো। সেই সম্মেলনের প্রায় সাড়ে তিন দশক পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের সম্মেলন। সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘ইসলামিক ভ্যালুস ফর সাস্টেন্যাবল পিস, সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’।
কূটনীতিকরা বলছেন, চলমান রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় এ সম্মেলন থেকেই কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদারের সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা নিজ দেশের অবস্থান ব্যক্ত করবেন। সম্মেলনে আজ রোহিঙ্গাদেও নিয়ে একটি সেশন অনুষ্ঠিত হবে। এতে রোহিঙ্গাদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করবে ওআইসি। সেখান থেকে একটি রেজ্যুলেশন পাশ হবে। এতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আরও সহজতর হবে।
চলতি বছরের শুরুতে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে ওআইসি’র মানবাধিকার সংস্থার (আইপিএইচআরসি) ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধ দল বাংলাদেশ ঘুরে যান। সে সময় প্রতিনিধি দলের প্রধান ড. রশিদ আল-বালুসি বলেছেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীদের অধিকার নিশ্চিত করে তাদের বসত-ভিটায় ফিরিয়ে নিতে হবে। মিয়ানমার যাতে রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করে ফিরিয়ে নেয় এজন্য যথাযথ চাপ প্রয়োগ করবে ওআইসি। এ ছাড়া বেশ্বিক একাধিক ফোরামে এরই মধ্যে ওআইসি রোহিঙ্গা ইস্যূটি তুলে ধরেছে এবং সামনের দিনেও তুলে ধরবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন দিচ্ছে ওআইসি। সম্মেলনে সংস্থাটির প্রায় ৪০ জন মন্ত্রী ও সহকারী মন্ত্রীসহ প্রায় সাড়ে ৫০০’র অধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছে। সম্মেলনে আসা আগ্রহী দেশ ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের আমরা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ক্যাম্প ঘুরিয়ে নিয়ে এসেছি। যাতে করে তারা বিষয়টি অনুধাবন করতে পারে। এখন দেখা যাক সম্মেলন থেকে এ ইস্যুতে কি সিদ্ধান্ত আসে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, সম্মেলনটিতে আলোাচ্য বিষয় সংক্রান্ত রেজ্যুলেশন, ঢাকা ঘোষণা পত্র এবং সিদ্ধান্তসমূহ আউটকাম ডকুমেন্ট হিসেবে গৃহীত হবে।