দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোকে সহায়তা না করাই ভালো: ডিসিসিআই
ফয়সাল মেহেদী: দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যাংকগুলোকে সরকারের সহায়তা না করাই ভালো বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আবুল কাশেম খান। তিনি বলেছেন, যেসব ব্যাংক অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ও ব্যবসা পরিচালনায় ব্যর্থ হচ্ছে তাদের সহযোগিতা না করাই ভালো। গতকাল শনিবার ৫ মে রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন ।
আবুল কাশেম বলেন, দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করলে যারা ভালো ব্যবসা করছে তারা উৎসাহ হারাবেন। কোনো ব্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হলে সরকার যদি তাদের ফান্ড দিয়ে সহায়তা না করে তাহলে অন্য ব্যাংকগুলো সতর্ক হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ঋণ খেলাপিদের একটি নিয়মের মধ্যে আনতে হবে। বড় ঋণ না দিয়ে এসএমই বা ক্ষুদ্র ঋণের উপর জোর দিতে হবে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে উদ্যোগ নিতে হবে।
ডিসিসিআইর সভাপতি বলেন, রাজস্ব হার কমানো হলে বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বাড়বে। আর দেশের অবকাঠামো খাত যত আধুনিকায়ন হবে তত বেশি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আসবে। তাই আগামী ৩ বছরকে অবকাঠামো খাতের উন্নয়নের বছর হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব করেন তিনি। যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েকে ৪ থেকে ৮ লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিতে হবে। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকার শিল্পের উন্নতি হবে অনেক বেশি।
তিনি বলেন, কালো টাকা সাদা করাকে আমরা সমর্থন করি না। তবে বৈধভাবে উপার্জন করা অর্থ অনেক সময় দেখানো হয় না। এটি বেশি ট্যাক্স দিয়ে পরিশোধের সুবিধা থাকা উচিত। সরকারের ভালো প্রকল্পগুলোকে পিপিপির (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ) আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এতে বিনিয়োগ বাড়বে। একই সঙ্গে একটি শক্তিশালী পিপিপি খাত গড়ে উঠবে।
ব্যবসায়ী এই নেতা বলেন, শেয়ারবাজার থেকে টাকা তুলতে হলে আগে ৩ বছর ভালো ব্যবসা করে দেখাতে হবে। এর আগে টাকা সংগ্রহের কোনো উপায় নেই। এতে কোম্পানিগুলোর ব্যবসা বাড়ানো সম্ভব হয় না। তাই বাজেটে মেগা প্রকল্পসহ গ্রিন ফিল্ড কোম্পানির তালিকাভুক্তিতে একটি পলিসি তৈরি করার প্রস্তাব করছি। যাতে ৩ বছর আগেই শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায়। শেয়ারবাজারের রেগুলেটরদের মধ্যে সমন্বয় রাখতেও আহ্বান জানান তিনি।
আসন্ন বাজেটে মোট ৪১টি প্রস্তাব তুলে ধরে ডিসিসিআই। সম্পাদনা: মোহাম্মদ রকিব হোসেন