২৫ মে হাসিনা-মোদি মমতা সাক্ষাত তিস্তার পানি চাইবে বাংলাদেশ
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: ২৪ মে দু’দিনের সফরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৫ মে তিনি বিশ্ব ভারতীতে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন করবেন। একই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একই মঞ্চে উঠবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানের পর হাসিনা, মোদি ও মমতার মধ্যে সৌজন্য বৈঠকের কথা রয়েছে। সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিস্তার পানি নিয়ে কথা বলবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে।
দুই দেশের কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, শেখ হাসিনার এই সফরটি দুই দেশের সরকার প্রধানের কোনো দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের না হলেও বাংলাদেশের ও ভারতের জাতীয় নির্বাচনের আগে এই সফরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আনুষ্ঠানিক কোনো শিডিউল না থাকলেও বাংলাদেশ ভারতের মধ্যকার চলমান প্রকল্প, ভারত-বাংলাদেশ ঋণচুক্তি এবং তিস্তার পানি নিয়ে আলোচনা হবে দুই সরকার প্রধানের মধ্যে।
দিল্লির কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, আগামী ২৫ মে বিশ্ব ভারতী ইউনিভার্সিটিতে উদ্বোধন করা হবে বাংলাদেশ ভবন। সেখানেই একই মঞ্চে থাকবেন তারা তিনজন। বাংলাদেশ ভবন নির্মাণের খরচ বহন করছে বাংলাদেশ সরকার। এদিন চ্যান্সেলর হিসেবে কেন্দ্রীয় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
রেক্টর হিসেবে ওই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের গভর্নর কেশরিনাথ ত্রিপাঠির। ওদিকে বলিউডের জীবন্ত কিংবদন্তি, মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চনকে বিশ্ব ভারতীর একাডেমিক কাউন্সিল অভিজাত ‘দেশিকোত্তমা’ পদক দেয়ার জন্য মনোনীত করেছে। এ ছাড়া আরও যারা পুরস্কৃত হবেন তারা হলেন সঙ্গীত পরিচালক গুলজার, লেখক অমিতাভ ঘোষ ও সুনীতি কুমার পাঠক, পেইন্টার জোগেন চৌধুরী, বিজ্ঞানী অশোক সেন ও সঙ্গীতশিল্পী দ্বিজেন মুখার্জী। একই অনুষ্ঠানে ‘গগণ-আবান’ পুরস্কার ও রথীন্দ্র পুরস্কার ঘোষণা করার কথা রয়েছে বিশ্ব ভারতীর।
ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্রমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর সবুজকালি সেন কর্মসূচির বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অফিস ও বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে সম্মতি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি আরো বলেন, অনুষ্ঠানে পুরস্কার হস্তান্তর করবেন চ্যান্সেলর। যদি তার অফিস অনুমোদন জানায় তাহলে তিনি পিএইচডি ডিগ্রিও হস্তান্তর করতে পারবেন। এর পরে দু’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। দুটি অনুষ্ঠানেই আমরা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
কয়েক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশ ভবনের নির্মাণ কাজ দেখতে শান্তিনিকেতন সফর করেছেন বাংলাদেশ সরকারের একজন প্রতিনিধি।