লেবানন নির্বাচনে হিজবুল্লাহ জোট এগিয়ে
ইমরুল শাহেদ : ৯ বছর পর গত রোববার অনুষ্ঠিত লেবাননের নির্বাচনে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহদের জোট সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে বিজয়ী হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানি গণমাধ্যম পার্সটুডে। তবে এই ফলাফল বেসরকারি। পার্সটুডে জানিয়েছে, সংসদের মোট ১২৮টি আসনের মধ্যে হিজবুল্লাহ ও তার মিত্ররা ৬৭টি আসন পেয়েছে। লেবাননের বিভিন্ন গণমাধ্যম, রাজনীতিবিদ ও নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা সোমবার এ খবর দিয়েছেন। এবারের নির্বাচনে হিজবুল্লাহর সঙ্গে জোট বেধেছে স্পিকার নাবিহ বেরির ‘আমাল মুভমেন্ট’ এবং প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন প্রতিষ্ঠিত ‘ক্রিশ্চিয়ান ফ্রি প্যাট্রিয়টিক মুভমেন্ট’।
নির্বাচনে ১২৮টি আসনের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৫০০ প্রার্থী। সরকারি হিসাব থেকে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে শতকরা ৪৯.২ ভাগ ভোটার ভোট দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে- দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহ সমর্থকরা বিজয়োল্লাস করছেন।
হিজবুল্লাহর বিজয়ে প্রধানমন্ত্রী সাদ আল-হারিরি বলেছেন, লেবানন পার্লামেন্ট থার্ডের (যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক ক্ষেপনাস্ত্র) মধ্যে ব্লক হয়ে গেল। তিনি টেলিভিশন ভাষণে বলেছেন, আমি লেবাননের নাগরিকদের করজোড়ে বলেছি তারা যেন লেবাননে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনে। তাতে লেবাননবাসীর জীবন মানের উন্নতি হবে।’ তার দল ফিউচার ম্যুভমেন্ট পেয়েছে ২১ আসন। ২০০৯ সালের নির্বাচনে তার দল পেয়েছিল ৩৩ আসন।
নির্বাচনে সাদ হারিরির নেতৃত্বাধীন সুন্নি জোট আসন হারালেও তিনিই প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। লেবাননের সংবিধান অনুসারে, দেশটিতে খ্রিস্টান সম্প্রদায় থেকে প্রেসিডেন্ট, সুন্নি মাজহাব থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং শিয়া মাজহাব থেকে জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচন করা হয়। সিরিয়া পরিস্থিতি এবং নির্বাচনী আইনের জটিলতার কারণে ২০০৯ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত তিনবার নির্বাচন অনুষ্ঠান পিছিয়ে গেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ইসরায়েলের শিক্ষামন্ত্রী নাফতালি বেনেট সোমবার টুইটারে বলেছেন, হিজবুল্লা এবং লেবানন এখন সমার্থক। সার্বভৌম লেবানন এবং হিজবুল্লাহর প্রতি ইসরায়েলের দৃষ্টিভঙ্গির কোনো পরিবর্তন হবে না। লেবানন থেকে ইসরায়েল বিরোধী যে কোনো কার্যক্রমকে লেবানন করেছে বলেই ধরে নেয়া হবে।’ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, পার্সটুডে, রয়টার্স