‘ওআইসিকে সক্রিয় রাখতে হবে বাংলাদেশের প্রয়োজনে’ রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক চাপ থাকতেই কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধির পরামর্শ
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: সদ্য সমাপ্ত ওআইসি (ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা) সম্মেলনের ঢাকা ঘোষণা বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। তারা বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ওআইসি বাংলাদেশের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছে। সবাই ঐকমত্য হয়েছে যে, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে যেনো জাতিসংঘকে যুক্ত করা হয়। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই বিষয়টিকে বাংলাদেশ সরকারেরও গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত। ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক চাপ থাকতেই কূটনৈতিক তৎপরতা আরও বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) অনুপ কুমার চাকমা বলেন, ওআইসির ভূমিকার সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান চাইলে অবশ্যই আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সঙ্গে রাখতে হবে। ওআইসিকে সক্রিয় রাখতে হবে বাংলাদেশের প্রয়োজনে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ও রোহিঙ্গা গবেষক অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, ওআইসি সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বড় ধরণের চাপ তৈরি হয়েছে। এটা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সুযোগ। এখন আন্তর্জাতিকভাবে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়াতে হবে। মিয়ানমারকে চাপে না রাখলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হবে না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো চীন, ভারত এবং রাশিয়াকে বাংলাদেশের পক্ষে আনা।
মিয়ানমারে বাংলাদেশের আরেক সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর (অব.) ইমদাদুল ইসলাম বলেন, ওআইসি সম্মেলনে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা বিষয়ে মুসলিম বিশ্বকে এক কাতারে আনতে পেরেছে, এটা অনেক বড় অর্জন। রোহিঙ্গাদের উপর যে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে তা মুসলিম বিশ্ব নিজের চোখে দেখে গিয়েছে। তারা জাতিসংঘের হস্তপেক্ষ চেয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এরইমধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে কূটনৈতিক সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে। মিয়ানমার চাপে, এই চাপ অব্যাহত রাখতে হবে।