গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিতে ক্ষমতাসীন দলেই অস্বস্তি
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ অস্বস্তিতে পড়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা মনে করে, আইনি জটিলতার কারণে নির্বাচনটি তিনমাসের জন্য স্থগিত করা হলেও বিএনপি এটা আওয়ামী লীগের দূর্বলতা বলে যে অভিযোগ করছেন তাতে দেশব্যাপী দলীয় নেতাকর্মীরা কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, গাজীপুর নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশনা আইনী এবং যৌাক্তিক হলেও আওয়ামী লীগই বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে। কারণ বিএনপি বলছে, নির্বাচনে ভরাডুবি জেনেই আওয়ামী লীগের একজনকে দিয়ে রিট করানো হয়েছে। বিষয়টি আদালতের হলেও রাজনৈতিকভাবে বিএনপি এটাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।
গংবিধান বিশেষজ্ঞ ও গণফোরাম সভাপতি ডা. কামাল হোসেন বলেছেন, আইনগত ভাবেই এই নির্বাচন স্থগিত হয়েছে। কিন্তু অস্বস্তিতে পড়েছে আওয়ামী লীগ। এটা বিএনপির একটি রাজনৈতিক কৌশল। অন্য যে কেউ এই রিট করতে পারতো। বিএনপি এই নির্বাচন নিয়ে যে অভিযোগ করছে তা যৌক্তিক নয়। তবে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, স্ষ্ঠুু ও নিরপেক্ষ হলে বিএনপির এই অভিযোগ ভিত্তিহীন হয়ে পড়বে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, এই ঘটনা আওয়ামী লীগের জন্য চাপ তো অবশ্যই। কারণ তাদের সরকার ক্ষমতায়। যদিও বিষয়টি আদালতের।
আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পর গাজীপুরের নির্বাচন স্থগিত দলের নেতাকর্মীদের জন্য মোকাবেলা করা একটু ঝামেলার। বিএনপি এটাকে ইস্যু করার চেষ্টা করছে। তাছাড়া দলের মধ্যেও একটু অসন্তোষ ছিলো মেয়র প্রার্থী হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে। কারণ রিটটাও এই অসন্তোষের ফলই বলে মনে করছেন কেউ কেউ।
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি এখন ফাঁকা মাঠে গোল দিচ্ছে। এই আদেশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বা সরকারের সম্পর্ক নেই। এটা সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়। তারা এ বিষয়ে কথা বলে আদালতের প্রতি অসম্মান দেখাচ্ছে। তাদের আইনের প্রতি আস্থা রেখে কথা বলা উচিত।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছেন, আওয়ামী লীগের অস্বস্তি হলো নির্বাচন না হওয়া। নির্বাচন হলে বিএনপির প্রার্থী নয় আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। বরং বিএনপির জন্য শাপেবর হয়েছে।