গণমাধ্যমের জন্য নতুন কোন নীতিমালা হবে না: ইসি
সাইদ রিপন: সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে গণমাধ্যমের জন্য নতুন কোনো নীতিমালা বা বিধি-নিষেধ আরোপ করা হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তবে ভোটের দিন সংবাদ সংগ্রহ, সরাসরি সম্প্রচার ও ভোটকেন্দ্রে ইসির দেয়া নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান তিনি। গতকাল আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ইসি সচিব এসব কথা বলেন। বিভিন্ন নির্বাচনে সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহ, প্রচার, প্রতিবেদন প্রকাশ এবং ভোট গ্রহণের দিন ভোটকেন্দ্রে সংবাদ সংগ্রহ, প্রকাশ-প্রচার বিষয়ক একটি নীতিমালা প্রণয়ন সংক্রান্ত এ মত বিনিময় সভার আয়োজন করে ইসি। কমিশনের নির্দেশনায় বলা হয়- প্রিজাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া ভোটকক্ষে প্রবেশ করা যাবে না, সাংবাদিকরা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না, কোনো প্রকার নির্বাচনি উপকরণ স্পর্শ বা অপসারণ করা থেকে বিরত থাকবেন। সাংবাদিকরা ভোটে প্রার্থী বা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে যে কোনো ধরনের কর্মকা- থেকে বিরত থাকবেন এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তার জন্যে সংবিধান, নির্বাচনি আইন ও বিধিবিধান মেনে চলবেন। প্রস্তাবিত নীতিমালায় নতুন কিছু প্রস্তাব সংযোজন করা হয়। তাতে বলা হয়েছে- ভোটদানের ছবি তোলা যাবে না, ভিডিও করা যাবে না। ভোটকেন্দ্রে কর্মরতদের সাক্ষাতকার নেয়া যাবে না, পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলা যাবে না, ভোটকক্ষের ভেতর থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না, ভোট গণনার কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না এবং একই সঙ্গে একাধিক সাংবাদিক একই কক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না।
আলোচনায় গণমাধ্যমকর্মীরা ইসির উদ্যোগের সমালোচনা করে জানান, ভোটকে সামনে রেখে আকস্মিকভাবে নীতিমালা প্রণয়নের তৎপরতায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জনমনে শংকা তৈরি হতে পারে। গণমাধ্যমকর্মীরা ভোটকেন্দ্রে বেশ সচেতনভাবেই কাজ করছেন। বিদ্যমান আইন-বিধির যথাযথ প্রয়োগ হলে নীতিমালার প্রয়োজন পড়বে না। পর্যবেক্ষণ নীতিমালা মেনে ও সাংবাদিক পরিচয়পত্রের মধ্যে থাকা নির্দেশনা অনুসরণ করেই কাজ করছে গণমাধ্যমকর্মীরা। গণমাধ্যমের জন্য নীতিমালা না করে অবাধ, সুষ্ঠু ভোট আয়োজন করার বিষয়ে কমিশনকে ক্ষমতা প্রয়োগের পরামর্শ দেন তারা। গণমাধ্যমকর্মীদের কথার প্রেক্ষিতে সচিব বলেন, গণমাধ্যমের জন্য প্রস্তাবিত নীতিমালা করা হচ্ছে না। নতুন কোনো বিধি-নিষেধ আরোপের উদ্দেশ্য আমাদের নেই। গণমাধ্যম আমাদের সহায়ক শক্তি।