অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে আইনজীবীদের হট্টগোল
এস এম নূর মোহাম্মদ: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে হাইকার্টের দেওয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল আজ বুধবার আবারও শুনানি হবে আপিল বিভাগে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চে গতকাল মঙ্গলবার এ বিষয়ে শুনানি শেষে আজকের দিন পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত। শুনানিকালে এজলাস কক্ষে তীব্র হৈ চৈ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের দীর্ঘ শুনানি নিয়ে আপত্তির কারণে বেশ কয়েকবার হৈ চৈ করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
শুনানিতে অংশ নিয়ে শুরুতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, খালেদা জিয়া ২ বা আড়াই বছর কারাগারে থাকলে জামিন বিবেচনা করলে আপত্তি থাকতো না। বয়স, সামাজিক বিবেচনায় নি¤œ আদালত খালেদা জিয়াকে সাজা কম দিয়েছে। এটা ঠিক হয়নি। একই বিবেচনায় হাইকোর্টের জামিন মঞ্জুর করাও ঠিক হয়নি।
আদালত বলেন, জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়স বিবেচনা করাটা কোনো যুক্তি হতে পারে না-এটাইতো বলতে চাচ্ছেন? জবাবে খুরশিদ আলম বলেন, হ্যাঁ। তিনি বলেন, নি¤œ আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকাবস্থায় খালেদা জিয়া আদালতের অনুমতি ছাড়াই বিদেশে গেছেন। এভাবে তিনি জামিনের অপব্যবহার করেছেন।
দুদকের আইনজীবী বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ বলা হচ্ছে। কিন্তু তার অসুস্থতার পক্ষে একটিও ডকুমেন্ট নেই।
বিরতির পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, এই মামলার বিচারে বিলম্ব ঘটাতে সব ধরনের চেষ্টা করেছেন খালেদা জিয়া। নি¤œ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে অসংখ্যবার হাইকোর্টে এসেছেন। নি¤œ আদালতে এই মামলার বিচার শেষ হতে ৯ বছর লেগেছে।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বলা হচ্ছে তার খালেদা জিয়া অসুস্থ। তার হাঁটুতে অপারেশন হয়েছে। এটাই যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে তার হাঁটার দরকার কী? তার বিশ্রামে থাকা প্রয়োজন। তিনি কারাগারে বিশ্রামে রয়েছেন। অ্যাটর্নি জেনারেলের এই বক্তব্যে পুরো আদালত কক্ষে হাসির রোল পড়ে যায়।
অ্যাটর্নি জেনারেলের পর খালেদা জিয়ার পক্ষে এজে মোহাম্মদ আলী শুনানি করেন। তিনি প্রথমেই অ্যাটর্নি জেনারেলকে উদ্দেশ করে বলেন, তার এই মামলায় শুনানির এখতিয়ার নেই। আইন অনুযায়ী দুদকের মামলা শুনানির জন্য নিজস্ব আইনজীবী টিম থাকবে। এই টিম নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী ভিত্তিতে আইনজীবী নিয়োগ দিতে হবে। সম্পাদনা: আনিস রহমান