ইরান পরমানুচুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ট মিত্রদের উদ্বেগ
সান্দ্রা নন্দিনী ও ওমর শাহ: ইরান পরমাণুচুক্তি থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেরিয়ে আসার ঘোষণায় যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি ও কানাডাসহ যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ঘনিষ্ট মিত্রদের পক্ষ থেকে গভীর হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এক যৌথ বিবৃতিতে তাদের এ মনোভাব প্রকাশ করেন। ইয়ন, রয়টার্স
বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্টের চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্তে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি অত্যন্ত হতাশ ও উদ্বিগ্ন। তবে, জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন-জেসিপিওএ থেকে আমরা কেউ বের হচ্ছি না। কেননা, এ চুক্তিটি যৌথ নিরাপত্তার সাথে সম্পর্কিত। তাছাড়া, চুক্তিটি আন্তর্জাতিকভাবে ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে বিরত রাখার একটি বৈধ কাঠামো। তাই সকল পক্ষকেই এটি মেনে চলার পাশাপাশি দায়িত্বশীল আচরণ করতে অনুরোধ করছি।
এদিকে পরমানু চুক্তি বাতিল করায় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি এ সমঝোতা মেনে চলার জন্য অন্য পক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার রাতে ট্রাম্পের ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে গুতেরেস বলেন, ইরানের পরমাণু সমঝোতা আন্তর্জাতিক সমাজের একটি বড় অর্জন যা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় সহায়তা করেছে।
এদিকে আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সাবেক সদস্য গ্রে সিক ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে ট্রাম্পের বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণাকে ‘ঐতিহাসিক ভুল’ উল্লেখ করে বলেছেন, এ সিদ্ধান্ত নিয়ে ট্রাম্প আমেরিকাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষরকারী অন্যান্য পক্ষের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছেন।
২০১৫ সালে ইরানের বিতর্কিত পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দেশটির সঙ্গে চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া ও জার্মানি। চুক্তির আওতায় ইরান নিজেদের পরমাণু কর্মসূচি স্থগিত রাখার ব্যাপারে একমত হয়। এর বিনিময়ে দেশটির ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আংশিক তুলে নেওয়া হয়। তবে শুরু এই চুক্তি নিয়ে সমালোচনা করেন ট্রাম্প। ২০১৬ সালে নির্বাচনি প্রচারণার সময় তিনি ঘোষণা দেন, তিনি ক্ষমতায় গেলে পূর্বসূরি বারাক ওবামার করা এ চুক্তি বাতিল করবেন তিনি। সম্পাদনা: মোহাম্মদ রকিব হোসেন